বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ছিপছিপে, সুস্থ থাকার জার্নিটা মোটেই খুব একটা সহজ নয়। বিশেষ করে প্রথম দিকে ওজন কমতে আরম্ভ করলেও একটা পর্যায়ে এসে কঠোর ডায়েট ও ব্যায়ামের রুটিন মেনে চললেও প্রার্থিত ফল তেমন পাওয়া যায় না। বিশেষ করে পেট ও তলপেটের মেদ কমানো অত সহজ নয়। পেটের চর্বি গলাতে কসরত করতেই হয়। নিয়ম করে কার্ডিয়ো বা স্ট্রেংথ ট্রেনিং করলে তবেই পেটের মেদ তাড়াতাড়ি কমবে। তবে যদি কম সময়ের মধ্যে ফল পেতে চান, তা হলে কিছু ওয়ার্কআউট আছে যা রোজ ১০ মিনিট করে করলেই ভুঁড়ি কমবে। যদি ডেটে যাওয়ার থাকে বা কোনও অনুষ্ঠানে এমন পোশাক পরতে চান যেখানে পেট টানটান দেখালে ভাল হয়, তা হলে কোন কোন ব্যায়ামগুলি করলে সুফল পাবেন, জেনে নিন।
পেটের মেদ কমাতে কোন কোন ব্যায়াম করবেন?
প্ল্যাঙ্ক
প্ল্যাঙ্ক। ছবি: ফ্রিপিক।
পেটের মেদ ঝরাতে প্লাঙ্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যায়াম। প্রথমে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। কনুই এবং পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে, শরীর টানটান রাখার চেষ্টা করুন। পেট ভিতর দিকে টেনে রাখুন। ৩০ সেকেন্ড করে তিনটি সেট দিয়ে শুরু করে, ধীরে ধীরে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত ওই অবস্থায় থাকার চেষ্টা করুন।
লেগ রাইজ়
লেগ রাইজ়। ছবি: ফ্রিপিক।
ম্যাটের উপর শুয়ে দুই পা তুলুন। হাঁটু ভাঙবেন না। এ বার দুই হাত শরীরের সমান্তরালে রেখে ঘাড় থেকে পিঠের কিছুটা অংশও তুলুন। পায়ের সঙ্গে শরীরের উপরিভাগ সমকোণে বা ৯০ ডিগ্রিতে থাকবে। এই ভঙ্গিমায় টানা ১ মিনিট থাকতে পারলে ভাল হয়। এতে পেটের উপর চাপ পড়বে।
রাশিয়ান টুইস্ট
রাশিয়ান টুইস্ট। ছবি: ফ্রিপিক।
ম্যাটের উপর পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। এ বার দুই পা ভাঁজ করুন। হাঁটু ভাঙতে হবে। ধীরে ধীরে হাঁটু থেকে দুই পা মাটির কিছুটা উপরে তুলুন। শরীর সামান্য পিছন দিকে হেলিয়ে দুই হাত জড়ো করুন। এর পর পা একই ভাবে রেখে কোমর থেকে শরীরের উপরিভাগ এক বার বাঁ দিকে ও এক বার ডান দিকে ঘোরাতে হবে। দুই পা যেন মাটি স্পর্শ না করে। শরীরের ভার থাকবে নিতম্বের উপরে। এ বারে ১০ সেট করে ৩ বার করলে পেট, তলপেটে, কোমরের কাছের চর্বি কমে যাবে।
বাইসাইকেল ক্রাঞ্চ
বাইসাইকেল ক্রাঞ্চ। ছবি: ফ্রিপিক।
সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত মাথার নীচে রাখতে হবে। এ বার ঘাড় ও মাথা সামান্য তুলে দুই পা দিয়ে যে ভাবে সাইকেল প্যাডেল করে, তেমন ভাবে করতে হবে। টানা ১ মিনিট এ ভাবে ব্যায়াম করলে পেটের উপর চাপ পড়বে। খুব দ্রুত পেটের চর্বি গলবে।
ফ্লাটার কিক্স
ফ্লাটার কিক্স। ছবি: ফ্রিপিক।
সোজা হয়ে বসে শরীর সামান্য পিছন থেকে হেলাতে হবে। তবে কোনও কিছুতে হেলান দেবেন না। দুই হাত শরীরে পাশে রাখুন তবে যেন মাটি স্পর্শ না করে। এ বার সেই ভঙ্গিমাতেই এক বার বাঁ পা ও এক বার ডান পা ওঠাতে হবে আর নামাতে হবে। প্রথম প্রথম শরীরের ভারসাম্য রাখতে সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পিঠের কাছে বালিশ নিয়ে বসতে পারেন। তবে অভ্যাস হয়ে গেলে কোনও সাপোর্ট ছাড়াই ব্যায়ামটি করলে উপকার হবে।