রক্তচাপ বেশি হলে ব্যায়াম করা যায় না, এমন ধারণা অনেকেরই আছে। কিন্তু রক্তচাপ যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, তা হলে ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নেই। রক্তচাপ বেশি হোক বা কম, তা বশে রাখতে হলে শারীরিক কসরত করতেই হবে। তবে নিয়ম মেনে। হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপে যে ব্যায়ামগুলি করবেন, রক্তচাপ কমের দিকে থাকলে সেগুলি করা যাবে না। তাই কারা কোন ধরনের ব্যায়াম করলে উপকৃত হবেন, তা জেনে রাখা জরুরি।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ব্যায়াম
ভুজঙ্গাসন
পেট নীচের দিকে রেখে ম্যাটের উপর শুয়ে পড়ুন। দুই হাত থাকবে কাঁধের দু’পাশে। তার পর শ্বাস টেনে কাঁধ ধীরে ধীরে মাটি থেকে তুলতে চেষ্টা করুন। পেট মাটি থেকে অন্তত ৩-৪ ইঞ্চি ওঠাতে হবে। এই অবস্থানে থাকুন ১০ সেকেন্ড। পারলে আরও বেশি ক্ষণ করতে পারেন। ৪ থেকে ৫ বার এই ভাবে অভ্যাস করুন।
বজ্রাসন
প্রথমে পিঠ টান টান করে হাঁটু মুড়ে পায়ের গোড়ালির উপর বসুন। পায়ের পাতা থেকে হাঁটু যেন মাটিতে ঠেকে থাকে। এ বার দু’টি হাত হাঁটুর উপর রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন। এই অবস্থায় থাকুন ১০ সেকেন্ড। ৪ থেকে ৫ বার এ ভাবে অভ্যাস করুন।
ব্রিস্ক ওয়াকিং
রোজ অন্তত ১৫ মিনিট জোরে হাঁটতে হবে। দ্রুত গতিতে হাঁটাকে বলে ব্রিস্ক ওয়াকিং। নিয়মিত ওইটুকু করলে কেবল রক্তচাপই নিয়ন্ত্রণে থাকবে না, ভাল থাকবে হার্ট, লিভার, কিডনিও। ঝুঁকি কমবে ডায়াবিটিসের।
আরও পড়ুন:
নিম্ন রক্তচাপ থাকলে কী ব্যায়াম করবেন?
সেতুবন্ধনাসন
প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পা দু’টো নিতম্বের কাছে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে মাটি থেকে কোমর তুলে ধরুন। এ বার দুই হাত টান টান করে, গোড়ালি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থায় ১০ সেকেন্ড থাকুন। ৪ থেকে ৫ বার এ ভাবে অভ্যাস করুন।
ফরোয়ার্ড ফোল্ড
সোজা হয়ে দাঁড়ান। তার পর কোমর ভেঙে দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের পাতা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। মাথা যতটা সম্ভব নীচের দিকে ঝোঁকান। প্রথম প্রথম পায়ের পাতা স্পর্শ করতে সমস্যা হবে, ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে। সারা শরীরের স্ট্রেচিং হবে এই ব্যায়ামে।
ব্রিদিং এক্সারসাইজ়
সোজা হয়ে বসে চোখ বন্ধ করতে হবে। স্বাভাবিক শ্বাস নিতে হবে। প্রথমে ডান দিকের নাসারন্ধ্র বন্ধ করে বাঁ দিক দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। একই ভাবে বাঁ দিকের নাসারন্ধ্র চেপে ধরে ডান দিক দিয়ে শ্বাস টানতে হবে। গোটা প্রক্রিয়াটির সময়ে তর্জনি এবং মধ্যমা কপাল ছুঁয়ে থাকবে। এ ভাবে মিনিট পাঁচেক করতে হবে।