কোন ৫ কাজ অজান্তেই হাঁটুর ব্যথা বাড়িয়ে দেয়? ছবি: শাটারস্টক।
হাঁটুর ব্যথার সঙ্গে বার্ধক্যের কোনও সম্পর্ক নেই। যে কোনও বয়সে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। শরীরের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে হাঁটুতে ব্যথা হয়। তা ছাড়া, শরীরচর্চা না করা, অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকাও হাঁটু ব্যথার অন্যতম কারণ। হাঁটুর যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকতে জীবনধারায় বদল আনা জরুরি।
মানবদেহের অন্যতম প্রধান ভারবাহী অস্থিসন্ধি হাঁটু। অতিরিক্ত ওজন, কায়িক শ্রমের অভাব, ফ্ল্যাট ফুট-সহ নানা কারণে হাঁটুর অস্থিসন্ধির সমস্যা দেখা দেয়। অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস বা বাত হলেও হাঁটুতে ব্যথা হয়। এ ছাড়া, হাঁটু ও ঊরুর পেশি দুর্বল হলেও হাঁটুর ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত দৌড়োদৌড়ি করলেও হাঁটুর অস্থিসন্ধির দুর্বলতা বাড়ে, সেই থেকেও ব্যথা হয়। অনেকেই হাঁটুর ব্যথার ভয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা বন্ধ করে দেন। এতে কি লাভ হয়, না কি উল্টে আরও ক্ষতি হয়?
কিন্তু সিঁড়ি দিয়ে ওঠার চেয়ে হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে বেশি চাপ পড়ে সিঁড়ি বেয়ে নামার সময়ে। শরীরের ওজনের প্রায় সাড়ে তিন গুণ চাপ পড়ে। অর্থাৎ, যাঁর ওজন ৫০ কেজি সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়, তাঁর হাঁটুতে চাপ পড়বে ১৭৫ কেজি। কন্ডোম্যালেশিয়া প্যাটেলা, অর্থাৎ হাঁটুর অস্থিসন্ধির কার্টিলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সিঁড়ি দিয়ে উঠলে বা নামলে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। তাই হাঁটুর সমস্যা থাকলে সিঁড়ির বদলে লিফ্ট ব্যবহার করাই ভাল।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠার চেয়ে হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে বেশি চাপ পড়ে সিঁড়ি বেয়ে নামার সময়ে।
হাঁটুর ব্যথা থাকলে কোন কোন কাজ একেবারে বন্ধ করতে হবে?
১) হাঁটু মুড়ে বসবেন না, পা ছড়িয়ে বসার অভ্যাস করুন।
২) চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেড মিট, ট্রান্স ফ্যাট খাওয়া বন্ধ করতে হবে। মদ্যপান করা চলবে না।
৩) ব্যথা বাড়লে মুঠো মুঠো বেদনানাশক ওষুধ খেলে সমস্যা কমবে না। উল্টে বিপদ বাড়বে।
৪) একেবারে শরীরচর্চা করা বন্ধ করা চলবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফিটনেসবিদের নজরদারিতে হালকা ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে।
৫) জুতো বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এমন জুতো পরা চলবে না, যাতে হাঁটুর ব্যথা বেড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy