সাবানের গুণে আসবে ঘুম। ছবি- সংগৃহীত
দৈনন্দিন কাজের চাপ সামলে বিছানায় পিঠ রেখে, শান্তির ঘুম ঘুমাতে পারেন এমন মানুষ এখন হাতেগোনা। অথচ এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতি দিন খুব কম হলেও ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন আছে। কারণ, ঘুমালে শুধু যে ক্লান্তি দূর হয়, তা নয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আজকের ব্যস্ত জীবনে সময়ের অভাব যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে মানসিক চাপ বা উদ্বেগ।
‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন’ তাদের একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছে ‘ইনসমনিয়া’ বা অনিদ্রাজনিত সমস্যা এই প্রজন্মের মধ্যে একেবারেই বিরল নয়। ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মানুষের মধ্যেই অনিদ্রাজনিত সমস্যা দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ঘুম না হওয়ার বিস্তর কারণ থাকতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে এই অভ্যাস চলতে থাকলে শেষমেশ ওষুধ-নির্ভর হয়ে পড়াটাও কিন্তু কাজের কথা নয়।
তা হলে উপায়?
চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক ভাবে নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখাটাই হল আসল ব্যাপার। যে যে বিষয়গুলি থেকে চিন্তা হতে পারে সেই বিষয়গুলি নিয়ে রাতে আলোচনা না করাই ভাল। উত্তেজনা হয়, এমন ছবি বা সিনেমা দেখবেন না। ফোন থেকে দূরে থাকতে পারলেও ভাল। এ ছাড়াও আরও একটি উপায়ের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘুমের আগে যদি বিছানার চাদরের নীচে সাবান রেখে ঘুমোতে পারেন, তবে ঘুম আসতে সময় লাগবে না মোটে।
বিশ্বের নানা দেশে এই বিষয়ে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে এই উপায়ে অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভোগেন, এমন রোগীদের মধ্যে ৪২ শতাংশই উপকৃত হয়েছেন।
এই পন্থা কী ভাবে কাজ করে?
ভাল মানের সাবানে ল্যাভেন্ডার, ম্যাগনেশিয়াম, সামুদ্রিক নুন ইত্যাদির মতো যৌগ থাকে। এগুলি উত্তেজিত স্নায়ুকে শিথিল করতে সাহায্য করে। ফলে ঘুম আসে সহজেই। এ ছাড়াও অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করতে অনেকেই বিভিন্ন রকম এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করে থাকেন। ল্যাভেন্ডার, ল্যাং ল্যাং, ক্যামোমাইল, পেপারমিন্ট, সিডারউড, বার্গামট এসেন্সিয়াল অয়েলগুলি অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy