রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে, শরীরকে ভিতর থেকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়।। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজো থেকে শুরু হয়েছিল অত্যাচার পর্ব। বাইরে ঘোরা, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, শরীরচর্চা বন্ধ। ভাইফোঁটা পর্ব শেষ হতেই অপরাধবোধ শুরু। যার প্রভাব শুধু শরীরে নয়, মনের উপরেও পড়ে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলেই শুধু যে ওজন বাড়ে, তা কিন্তু নয়। শরীরে টক্সিন বা দূষিত পদার্থের মাত্রা বে়ড়ে গেলেও ওজনের হেরফের হয়। তবে হেঁশেলে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মশলা, হলুদ দিয়েই এই ধরনের সমস্যা বশে রাখা যায়। হলুদের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে, শরীরকে ভিতর থেকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ বাটা খান। তবে এ ছাড়াও আরও তিন ভাবে হলুদ খাওয়া যেতে পারে।
১) সোনালি দুধ
দুধ খেতে যদি সমস্যা না থাকে, তা হলে মরসুম বদলের সময়ে সংক্রমণজনিত সমস্যা থেকে বাঁচতে এই পানীয় বিশেষ ভাবে কাজ করে। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ দুধে এক চিমটে হলুদ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নিতে পারলে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
২) ডিটক্স পানীয়
প্রতি দিন ইষদুষ্ণ জলে মধু এবং লেবুর রস তো খেয়েই থাকেন। এই পানীয়ের কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে তুলতে এর মধ্যে মেশান এক চিমটে হলুদ। আগের দিন রাতে বড় কাচের পাত্রে ঈষদুষ্ণ জল, বেশ কিছুটা আদা এবং লেবুর টুকরো, কয়েকটি পুদিনা পাতা, দারচিনির টুকরো-সহ ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে ওই জলে এক চিমটে হলুদ এবং মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। ফ্লু, সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা এবং অ্যালার্জির সমস্যায় দারুণ কাজ করে।
৩) হলুদের চা
এই পানীয় তৈরি করতে হলুদ গুঁড়ো বা কাঁচা হলুদ— দুটিই ব্যবহার করা যায়। জল ফুটতে শুরু করলে তার মধ্যে আদার টুকরো দিয়ে দিন। এবার দিন এক চিমটে হলুদ। ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এই চা খাওয়ার আগে মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যোগ করে নিতে পারেন। স্বাদ এবং স্বাস্থ্য— দুই ভাল হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy