Advertisement
E-Paper

ডায়াবেটিকরা কী ভাবে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াবেন? চাঙ্গা থাকতে কোন নিয়মগুলি মেনে চলতেই হবে?

গরমে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। ডায়াবিটিস থাকলে এই আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়। তৈরি হয় হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই সুস্থ থাকতে কয়েকটি বাড়তি নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। কোন কোন বিষয়ে এই সময়ে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে ডায়াবিটিস রোগীদের?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৭
গরমে কী ভাবে ফিট থাকবেন ডায়াবেটিকরা?

গরমে কী ভাবে ফিট থাকবেন ডায়াবেটিকরা? ছবি: সংগৃহীত।

গরম যত বাড়ছে, ততই যেন বাড়ছে অস্বস্তি। কিন্তু সাধারণ মানুষের তুলনায় ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই সময়টি আরও বেশি কঠিন। বিশেষ করে গরমকালে শরীরচর্চায় অনীহা প্রকাশ ও দৈনন্দিন জীবনের নিয়ম মেনে না চলা ডায়াবেটিকদের জন্য মোটেও ভাল নয়। গরমে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। ডায়াবিটিস থাকলে এই আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়। তৈরি হয় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই সুস্থ থাকতে কয়েকটি বাড়তি নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। কোন কোন বিষয়ে এই সময়ে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে ডায়াবিটিস রোগীদের?

১) ফাইবারে ভরা খাবার খান: ডায়াবিটিস রোগীদের রোজকার খাবারে কী থাকছে, সেটা অত্যন্ত জরুরি। ইচ্ছা করলেই সব কিছু খাওয়া যায় না। গরমে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে এ বিষয়ে। বাইরের খাবার, মিষ্টি, তেলেভাজা, এই ধরনের খাবার থেকে পুরোপুরি দূরে থাকুন। বদলে ফাইবার আছে, এমন খাবার বেশি করে খান। ওট্‌স, ব্রাউন রাইস, গাজর, টম্যাটো রোজকার পাতে রাখুন। এ সময়ে তেল-মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই বিচক্ষণতার কাজ। বেশি করে শসা, মুসাম্বি, তরমুজের মতো ফল রাখতে হবে ডায়েটে।

২) শারীরিক সক্রিয়তা: গরমকালে শরীরচর্চা করা সত্যিই অসুবিধাজনক। বিশেষ করে বাইরে হাঁটাহাঁটি করা অত্যন্ত শ্রমসাধ্য বিষয় হয়ে ওঠে এই সময়ে। তাই চেষ্টা করুন বাড়ির ভিতরেই শরীরচর্চা করার। ১৫ মিনিটের পরিমিত ব্যায়ামও শর্করার স্তরকে প্রভাবিত করতে পারে। সুতরাং যতই অলস লাগুক, অল্পবিস্তর শরীরচর্চা করতেই হবে।

ডায়াবেটিকরা চা, নরম পানীয় এড়িয়ে চলুন।

ডায়াবেটিকরা চা, নরম পানীয় এড়িয়ে চলুন। ছবি: সংগৃহীত।

৩) পর্যাপ্ত জল খাওয়া: সুস্থ মানুষের তুলনায় ডায়াবিটিস রোগীদের ‘ডিহাইড্রেশন’-এর ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। জলের ঘাটতি তৈরি হলে শর্করার ভারসাম্য যেমন বিগড়ে যায়, তেমনই বিগড়ে যায় বিভিন্ন খনিজ পদার্থের ভারসাম্যও। তাই প্রতিনিয়ত জল পান করা আবশ্যিক। তবে বেশি নরম পানীয় কিংবা চা-কফি পান করা উচিত নয়। এতে জলশূন্যতার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

৪) শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন: সারা বছর অনেকেই প্রতি দিন শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করেন না। গ্রীষ্মে এই ভুল করবেন না। প্রতি দিন সকালে উঠে মনে করে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন। যদি দেখেন, শর্করার মাত্রা বেশি, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফেলে রাখবেন না। নিয়ম মেনে চললেও অনেক সময়ে শর্করার মাত্রা কিন্তু বেড়ে যেতে পারে। তাই রোজ পরীক্ষা করলে বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা যাবে।

৫) তেষ্টা মেটাতে নরম পানীয় নয়: নরম পানীয়ের অতিরিক্ত চিনি ও ক্যালোরি এক ধাক্কায় রক্তের শর্করার মাত্রা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। তাই রোদে বেরিয়ে নরম পানীয়ে চুমুক নয়, সঙ্গে জলের বোতল রাখুন। তেষ্টা মেটাতে ডাবের জল, খেতে পারেন। টাটকা ফলের রসও খাওয়া যাবে না।

Summer Tips Diabetes Risk
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy