রাতে যদি ভারী খাবার খেতে হয়, তবে অন্তত চার-পাঁচ ঘণ্টা আগে খেতে হবে দুপুরের খাবার। ছবি: প্রতীকী
বড়দিন মানেই কেক-পেস্ট্রি আর সঙ্গে ভূরিভোজ। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে ভালমন্দ খাবার খাওয়ার লোভ সংবরণ করা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু খাওয়াদাওয়া একটু বেলাইন হলেই বিদ্রোহ করে অনেকের পেট। কিন্তু সেই ভয়ে তো আর বড়দিনের খাওয়াদাওয়া উপেক্ষা করা চলে না! কাজেই এমন কিছু কৌশল দরকার যাতে খাওয়াও হবে কব্জি ডুবিয়ে অথচ শৌচাগারেও দৌড়তে হবে না পেটের সমস্যায়। রইল গ্যাস, অম্বল, পেটব্যথা ছাড়াই বড়দিন উপভোগ করার সহজ কিছু টোটকা।
১। শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয়। জল খান বেশি করে। ঘুরতে বেরিয়ে বা সাজগোজ করতে গিয়ে অনেক সময়েই মনে থাকে না জল খাওয়ার কথা। আর জল কম খেলেই দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপার সমস্যা। বড়দিনের রাতে খাবার যদি ভারী হয় তবে সমস্যা আরও বেশি। যাঁরা মদ্যপান করেন তাঁদের জন্যেও সারা দিন পরিমাণমতো জল খাওয়া আবশ্যিক।
২। মদ্যপান প্রসঙ্গে মাথায় রাখতে হবে, মদের পরিমাণ যেন খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। অতিরিক্ত মদ পরিপাকের সমস্যা তৈরি করে। এক পেট খেয়ে মদ খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই। কিন্তু এতে ফল হয় উল্টো। আবার খালি পেটে মদ খেলেও বাঁধতে পারে বিপত্তি। তাই খাবার ও মদের পরিমাণে যেন ভারসাম্য থাকে।
৩। রাতে যদি ভারী খাবার খেতে হয়, তবে অন্তত চার-পাঁচ ঘণ্টা আগে খেতে হবে দুপুরের খাবার। তার চেয়ে বেশি সময় যেন পেট খালি না থাকে। পাশাপাশি দুপুরের খাবার যেন একটু হালকা হয়। রাতে খেতে বসে তাড়াহুড়ো করবেন না, সময় নিয়ে অল্প অল্প করে খান। এতে হজমে সুবিধা হয়। খেতে বসে মাঝেমাঝে চুমুক দিতে পারেন হজমের জন্য উপযোগী পানীয়ে।
৪। রাতের খাবারের পর অন্তত মিনিট ৪৫ একটু হাঁটাহাটি করে নিন। যাঁরা বড়দিনের রাতে ঘুরতে বেরোচ্ছেন, তাঁরা একটু সন্ধ্যা সন্ধ্যা নাগাদ খাবার খেয়ে নিন। খাবারের পর বসে বা শুয়ে গল্প করার বদলে একটু হেঁটে নিন। বড়দিনের খাওয়াদাওয়ার পর প্রিয়জনের সঙ্গে নৈশভ্রমণ করলে মন ও পেট দুই-ই ভাল থাকবে।
৫। সমস্যা যদি শেষ পর্যন্ত হাতের বাইরে চলে যায় তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। অনেকেই নিজে নিজে ওষুধ খান। এতে কিন্তু সমস্যা কমার থেকে বিপদ বাড়ার সম্ভবনাই বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy