Advertisement
E-Paper

শ্রাবণ মাসে উপোস করবেন? না খেয়েও শরীর চাঙ্গা থাকবে এই সব নিয়ম মানলে

উপোস করলে কিন্তু শরীরের প্রতিও বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কী কী নিয়ম মানলে শরীর সুস্থ থাকবে, রইল হদিস।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫ ১২:৩৪
উপোসের দিনগুলিতে সুস্থ থাকতে বার বার জল খেতে হবে।

উপোসের দিনগুলিতে সুস্থ থাকতে বার বার জল খেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।

ক’দিন পরেই শুরু হবে শ্রাবণ মাস। আর শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে অনেক বাঙালি বাড়িতেই উপোস করার চল রয়েছে। শিব ঠাকুরের মাথায় জল ঢেলে কেউ কেউ উপোস ভেঙে দেন, কেউ কেউ আবার সারা দিন নির্জলা উপোস করেন। ধর্ম আচরণের অঙ্গ হিসাবে উপবাস করার প্রথা সব ধর্মের সঙ্গেই জুড়ে আছে। উপোস করে পুজো দিলেই কি ভগবান প্রসন্ন হবেন আর অন্যথায় নয়— এ বিতর্ক বহু দিনের। কে কী ‌ভাবে পুজো করে সন্তুষ্ট হবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তবে উপোস করলে কিন্তু শরীরের প্রতিও বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কী কী নিয়ম মানলে শরীর সুস্থ থাকবে, রইল হদিস।

মুখ চালাতে থাকুন মাঝেমধ্যেই

উপোস করলেও চেষ্টা করুন একেবারে নির্জলা উপোস না করার। উপোসের সময় বিভিন্ন রকম ফল খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া খাবারের তালিকায় নারকেল, কাজু বাদাম, আমন্ড, খেজুর, আখরোটও রাখতে পারেন। দই খেতে পারেন। সাবুমাখাও খেতে পারেন। এই ধরনের খাবারগুলি খেলে উপোসকালীন অবস্থাতেও শরীর চাঙ্গা থাকবে।

জল খেতে থাকুন

উপোসের দিনগুলিতে সুস্থ থাকতে বার বার জল খেতে হবে। জল খেলে পেট ভর্তিও থাকবে আর খিদেও কম পাবে। ডিহাইড্রেশন হলে শরীর ঝিমিয়ে পড়ে, কাজ করতে ভাল লাগে না। বার বার জল খেলে এমনটা হবে না। তাই উপোসের মাঝে জলের পাশাপাশি দুধ, ঘোল খাওয়া যেতেই পারে। ডাবের জল কিংবা আখের রসও দারুণ উপকারী।

মিষ্টি খান বুঝেশুনে

উপোসের সময় খালি পেটে থাকার কারণে অনেকের মনেই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হয়। এতে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। উপোসের সময় মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে খেজুর দিয়ে তৈরি মাখানার পায়েস, ফলের রায়তা, কলার স্মুদি খেতে পারেন। সাবুমাখা হোক কিংবা ঘোল— চিনি ব্যবহারের পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করুন।

ভাজাভুজিকে না বলুন

ভাজাভুজি, তৈলাক্ত বা মশলাদার কোনও খাবার খেয়ে উপোস ভাঙবেন না। সারা দিন খাবার ও জলের অভাবে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়। তার উপর অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে শরীর আরও জল টানবে। শরীরে অস্বস্তিবোধ হবে। উপোস ভাঙার পর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জল খাওয়া। তাই অল্প অল্প জল খেতে থাকুন।

পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি

উপোস করলে পর্যাপ্ত ঘুম যাতে হয়, সে দিকে নজর রাখুন। আগের রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোন। ঘুম সম্পূর্ণ হলে খিদে কম পাবে, শরীরও চাঙ্গা থাকবে।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। কোনও রকম ক্রনিক অসুখ থাকলে উপোস করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

Fasting
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy