রোগ হলেই মুড়িমুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খেতেই আমরা অভ্যস্ত। এতে বিপদ আরও বাড়ছে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুর বাড়বাড়ন্তে অসুখবিসুখ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তাই মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক নয়, বরং তার বিকল্প হয়ে উঠুক প্রোবায়োটিক। প্রোবায়োটিকের গুণাগুণ সম্পর্কে তেমন ধারণা অনেকেরই নেই।
শরীরে যেমন খারাপ ব্যাক্টেরিয়া আছে, তেমনই ভাল ব্যাক্টেরিয়াও আছে। এই ভাল ব্যাক্টেরিয়ারা হজমশক্তি বাড়ায়। খাদ্য বিপাকে সাহায্য করে। প্রোবায়োটিক হল এমন কিছু জৈব পদার্থ, যা শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রতি দিন আমরা যে সব ফল বা শাকসব্জি খাই, তার মাধ্যমে অনেক রাসায়নিক ঢোকে শরীরে। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে আমাদের অন্ত্রে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও বাড়ে। এই খারাপ ব্যাক্টেরিয়াগুলি নষ্ট করার জন্যই প্রয়োজন প্রোবায়োটিক।
কোন কোন খাবারে থাকে প্রোয়াবোটিক?
টক দই প্রোবায়োটিকের সব চেয়ে ভাল উৎস। রোজ টক দই খেলে উপকার হবে। টক দই দিয়ে লস্যি বা ঘোল বানিয়েও খাওয়া যায়। কয়েক ধরনের চিজেও প্রোবায়োটিক থাকে।
আরও পড়ুন:
ইডলি, দোসা, দই, আচার, ঘোলের মতো খাবারে প্রোবায়োটিক পাওয়া যাবে। কলার মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে। দই ও ওট্সের সঙ্গে কলা মেশালে পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। কাঁচা রসুনের মধ্যে ১৭.৫ শতাংশ প্রোবায়োটিক থাকে। রোজ সকালে উঠে খালি পেটে রসুনের কোয়া খেতে বলা হয়। এটিও প্রোবায়োটিকের উৎস। রান্নায় রসুন দিয়ে খেলে কিন্তু হবে না।
পনিরে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। হাড় মজবুত রাখতে, শরীর ভাল রাখতে পনির খেতে বলা হয়। পনিরেও যে প্রোবায়োটিক আছে, জানেন কি? সুতরাং পেট ভাল রাখতে খাবারের তালিকায় মাঝেমধ্যে পনিরও রাখতে পারেন।
যে কোনও গ্যাঁজানো (ফার্মেন্টেড) খাবারে প্রোবায়োটিক থাকে। লেবু হোক আম কিংবা সব্জির আচার, খাবার পাতে একটু করে রাখলেই প্রোবায়োটিকের অভাব দূর হবে।