ব্যস্ত জীবনে অনেকেই শরীরচর্চার জন্য আলাদা সময় বার করতে পারেন না। কিন্তু ফিটনেসের খেয়াল না রাখলে বাড়তে পারে মেদ। দৈনিক শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালোরির থেকে বেশি ক্যালোরি পরিশ্রমের মাধ্যমে ঝরাতে পারলে ওজন বৃদ্ধি হয় না। প্রথাগত শরীরচর্চা বা জিমে না গিয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কয়েকটি পদ্ধতি পরখ করে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন:
১) স্কিপিং: জিমে না গেলেও বাড়িতে একটি স্কিপিং থাকলেই কেল্লাফতে। ৫ থেকে ১০ মিনিট স্কিপিং করতে পারলে একই সঙ্গে সারা দেহের ব্যয়াম হয়। অন্য দিকে স্কিপিং হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে। ফলে কার্ডিয়ো ভাস্কুলার সিস্টেম ভাল থাকে। পাশাপাশি শরীর থেকে ঘাম ঝরাতে স্কিপিং সাহায্য করে। স্কিপিংয়ের সাহায্যে একবারে ৬০০ থেকে ১০০০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরানো সম্ভব।
২) সাঁতার: গরমের সময় সাঁতার কাটতে ভাল লাগে। তাই যাঁরা সাঁতার কাটতে পারেন, ওজন ঝরাতে এর কোনও বিকল্প নেই। এক ঘণ্টা সাঁতার কাটতে পারলে ৫০০ থেকে ৭০০ ক্যালোরি পর্যন্ত কমানো সম্ভব। সারা দেহের ব্যয়ামের জন্য সাঁতারের কোনও বিকল্প নেই। নিয়মিত সাঁতার কাটতে পারলে আর্থ্রাইটিস-সহ বিভিন্ন শারীরিক ব্যথার উপশম হয়। সাঁতার কাটলে দেহের পেশিও শক্ত হয়।
দৌড় (বাঁ দিকে) এবং সাইক্লিং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) দৌড়নো: ফিটনেস কোচদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতি দিন ৬০০ থেকে ১০০০ ক্যালোরি কমাতে হলে দৌড়ে উপকার পাওয়া যেতে পারে। প্রতি দিন আধ ঘণ্টা মতো দৌড়লে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে অভ্যাস না থাকলে শুরুতে জগিং করা যেতে পারে। কোনও রকম আঘাত এড়াতে সময়ের সঙ্গে দৌড়ের গতি বাড়ানো উচিত।
সিঁড়ি ভাঙলে (বাঁ দিকে) এবং সাঁতার কাটলে ওজন কমতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) সাইক্লিং: ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত সাইকেল চালাতে পারেন। বাড়ির বাইরে বা বাড়িতে সাইকেল মেশিনে সময় কাটাতে পারেন। সাইকেল চালালে সারা শরীরের ব্যয়াম হয়। সাইকেল ঠিকমতো চালাতে পারলে ৪০০ থেকে ৮০০ ক্যালোরি কমানো সম্ভব।
৫) সিঁড়ি ভাঙা: বাড়ি বা অফিসে এখন সকলেই লিফ্ট ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ। কিন্তু লিফ্টের পরিবর্তে যদি সিঁড়ি ব্যবহার করা যায়, তা হলে সেটা ব্যয়ামের সমান। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে পায়ের পেশি শক্ত হয়। এই ভাবে ৪০০ থেকে ৮০০ ক্যালোরি কমতে পারে।