ভিটামিন ডি-র অভাব হতে পারে যে কোনও মানুষেরই। এটি এমন এক ভিটামিন, যার মাত্রা কমে গেলে সমস্যা একাধিক। ভিটামিন ডি-র অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হতে পারে। এমনকি, অবসাদের নেপথ্যেও থাকতে পারে এই ভিটামিনের অভাব। এ ছাড়া শরীরবৃত্তীয় নানা কাজেই দরকার পড়ে ভিটামিনটির।
আরও পড়ুন:
সাধারণত সূর্যালোকের সংস্পর্শে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। বাকি ভিটামিন মেলে দুধ, দই, কড লিভার অয়েল, তৈলাক্ত মাছ এবং বিশেষ কিছু খাবার থেকে। এর পরেও শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে চিকিৎসকেরা সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ দেন।
তবে ওষুধ ছাড়াই ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক রাখতে নিয়মিত চুমুক দিতে পারেন বিশেষ স্মুদিতে। এক নয়, ভিটামিন ডি- মিলবে এমন তিন ধরনের স্মুদি তৈরির পদ্ধতি জেনে নিন।
দুধ-কলার স্মুদি: সাধারণ দুধ নয়। ফর্টিফায়েড মিল্ক বেছে নিন। সয়া দুধও বেছে নিতে পারেন। তবে তাতে যেন আলাদা ভাবে ভিটামিন ডি যোগ করা থাকে। কলায় ভিটামিন ডি নয়, থাকে ম্যাগনেশিয়াম। এই খনিজটি ভিটামিন ডি শোষণে সাহায্য করে। এই স্মুদিতে বিভিন্ন রকম বাদাম যোগ করতে পারেন। বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন মিলবে।
ইয়োগার্ট এবং ফলের স্মুদি: ফর্টিফায়েড ইয়োগার্ট লাগবে এই স্মুদি তৈরির জন্য। ভিটামিন ডি যেহেতু নিরামিষ খাবারে কম মেলে তাই ফর্টিফায়েড খাবার দরকার, যেখানে বাইরে থেকে পুষ্টিগুণ যোগ হয়। ইয়োগার্টের সঙ্গে কলা, আম বা মরসুমি ফল দিয়ে স্মুদি বানিয়ে নিতে পারেন।
টোফু এবং ফলের স্মুদি: টোফুতেও ভিটামিন ডি মেলে। তবে ফর্টিফায়েড হলে মাত্রা আরও বেশি হয়। টোফুর সঙ্গে কলা বা স্ট্রবেরি, কাঠাবাদাম, খেজুর দিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন।
এই ধরনের স্মুদি খেলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হবে না। যদি ঘাটতি হয় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সাপ্লিমেন্ট বা দৈনন্দিন ডায়েটে বদল আনা যেতে পারে।