করিনা কপূর থেকে বলিউডের নামজাদা তারকারা যাঁর পরামর্শ মেনে ডায়েট করেন, সেই পুষ্টিবিদ বলছেন পাতে ওল, গাঁটি কচু, মান রাখতে? এমন পরামর্শ শুনে অবাক হতে পারেন যে কেউ। গ্রামবাংলায় এই সব খাবারের চল বহুদিনের। তবে বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য ভাল রাখার খাবারের তালিকায় ওট্স, কিনোয়া, চিয়া বীজ কিংবা অ্যাভোকাডো নিয়ে চলে জোর আলোচনা। আর যেন পাত্তাই পাওয়া যায় না ওল, কচুর। এগুলি আসলে গাছের কন্দ বা মূল।
আরও পড়ুন:
মরসুম বদলের সময় সর্দি, কাশিতে ভোগেন অনেকে। আবার মেয়েদের অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাও হয়। রুজুতা বলছেন, অনেক সমস্যার সমাধান লুকিয়ে এই কন্দজাতীয় খাবারে। সপ্তাহে তিন দিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তা ডায়েটে রাখা প্রয়োজন। কেন এগুলি পুষ্টিকর, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রুজুতা।
ওল, কচু, রাঙাআলু, মানের মতো খাবারগুলিতে মেলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এ সব ভারতের চিরকালীন এবং সহজাত খাবার। শীত পড়ার আগে মরসুম বদলের সময়ে হাঁচি, কাশির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এই সময় বিশেষ কার্যকর হয়ে ওঠে। তা ছাড়া, শীত মানেই নানা রকম সব্জি খেয়ে পেটে গ্যাস হয়। কন্দ জাতীয় সব্জি প্রিবায়োটিক-এর কাজ করে। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার জন্য প্রিবায়োটিক অত্যন্ত উপযোগী। তাই এই ধরনের খাবার পেট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
রজোনিবৃত্তির সময় হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। মাত্রায় বদল হয়। কারও কারও ঋতুস্রাবও অনিয়মিত হয়। এমনকী যিনি পরিবার পরিকল্পনা করছেন, তিনিও ডায়েটে রাখতে পারেন কন্দ জাতীয় এই খাবারগুলি। এমনটাই পরামর্শ রুজুতার। তিনি জানাচ্ছেন, প্রাতরাশ থেকে দুপুরে আহার— যে কোনও সময় এগুলি খাওয়া যেতে পারে।
শরীর ভাল রাখতে কন্দ জাতীয় খাবার পাতে রাখার পাশাপাশি আরও দু’টি পরামর্শ দিয়েছেন রুজুতা। তিনি বলছেন, ‘‘ সন্ধ্যাবেলায় অথবা নৈশ আহারের পর হাঁটহাটি জরুরি। কারণ এতে হজম ভাল হয়, পেটে গ্যাস হলে বেরিয়ে যায়।’’ তবে খাবার পরে জোরে হাঁটা নয়, পায়চারি করার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। নৈশ ভোজের পর ১০ মিনিট হাঁটলে হজম ভাল হয়, গ্যাসের সমস্যা কমে, ঘুম ভাল হয়। বিশেষত ডায়াবেটিকদের জন্য তা অত্যন্ত কার্যকর।
তৃতীয় পরামর্শটি হল ঘুমোতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে মোবাইল দেখা বন্ধ করা এবং ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিট পরে মোবাইল হাতে নেওয়া। কারণ, এতে শরীরের যে ঘড়ি রয়েছে, সেই ঘড়ি অনুযায়ী শরীর কাজ করতে পারে।শরীর—মন উভয়ই ভাল থাকে এতে।