Advertisement
E-Paper

পেটের মেদ কমাতে চাইছেন? রোজের জীবনে দু’টি ছোট বদল আনলেই চটজলদি ভুঁড়ি কমবে

পোশাক বাছাই থেকে শুরু করে, হাঁটাহাঁটি, ছোটাছুটি, সবেতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় পেটের চর্বি। এর ফলে আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আসে, আবার ডায়াবিটিস, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। কিন্তু কেন মেদের ভিড় জমে তলপেটে?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৯
ভুঁড়ি কমানোর সহজ সমাধান কী?

ভুঁড়ি কমানোর সহজ সমাধান কী? ছবি: শাটারস্টক।

ভুঁড়ি বা পেটের মেদ শুধু সৌন্দর্যের নয়, স্বাস্থ্যের জন্যেও বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই নিয়মিত ডায়েট করেন, ব্যায়াম করেন, জল বেশি খান, স্বাস্থ্যকর নানা রকম টোটকা মেনে চলেন— তবু ভুঁড়ি যেন কিছুতেই কমতে চায় না। ভুঁড়ি লুকিয়ে কি চলা সম্ভব সব সময়ে? এ এক যুদ্ধ, যা অনেকের ক্ষেত্রেই রোজের সঙ্গী। পোশাক বাছাই করা থেকে শুরু করে, হাঁটাহাঁটি, ছোটাছুটি, সবেতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় পেটের চর্বি। এর ফলে আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আসে, আবার ডায়াবিটিস, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। কিন্তু কেন মেদের ভিড় জমে তলপেটে? এর নেপথ্যে রয়েছে এমন কিছু কারণ, যেগুলি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয় না। কী কারণে বাড়ছে ভুঁড়ি, কী ভাবেই বা কমবে, রইল হদিস।

কাজে বেরোনোর আগে প্রোটিনে ভরপুর প্রাতরাশ না করা

ওজন বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারণ হল প্রাতরাশ না করা। তাড়াহুড়োতে অনেকেই কেবল চা, কফিতে চুমুক দিয়ে অফিসে বেরিয়ে পড়েন। প্রাতরাশ না করে কেবল ক্যাফিনযুক্ত পানীয় দিয়ে সকালটা শুরু করলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা অনেককানি বেড়ে যায়। এই কারণেই ভুঁড়ি বাড়ে। এই সমস্যা দূর করতে প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রাতরাশে। প্রাতরাশে বেশি মাত্রায় প্রোটিন থাকলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর পাশাপাশি সারা দিনে ভুলভাল খাওয়ার প্রতি ইচ্ছেও কমে। যদি শুধু মাত্র প্রোটিন খেয়ে দেখেন কিছু ক্ষণের মধ্যেই ধকল হচ্ছে, তা হলে প্রাতরাশে প্রোটিনের সঙ্গে অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যেমন ওট্‌স, হোলগ্রেন পাউরুটি খেতে পারেন।

খাবার পর হাঁটাহাটি না করা

কাজের চাপে অনেকে অফিসের ডেস্কে বলেই দুপুরের খাবার খান। খাওয়ার শেষ করেই সঙ্গে সঙ্গে মিটিংয়ে ঢুকে পড়েন। এই কারণে কিন্তু বদহজম, গ্যাসের সমস্যা হয়। রক্তে শর্করা মাত্রা বেড়ে যায়, মেদ জমতে শুরু করে পেটের আনাচকানাচে। দুপুরে বা রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা ভীষণ স্বাস্থ্যকর। রাতে খাওয়ার পর কেবল গরম জল আর দুপুরে খাওয়ার পর লেবু চা, আদা চায়ে চুমুক দিতে পারেন। খাওয়ার সময় অতিরিক্ত চিনি আছে, এমন কোনও পানীয়ে চুমুক দেবেন না।

মেদ ঝরাতে অনেক কসরতই তো করা হয়, তবে রোজের জীবনে সামান্য দু’টি বদল করে দেখতেই পারেন।

Weight Management Weight Loss Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy