বাড়িতে, অফিসে বা রাস্তায় বেরোলে অনেকেই সঙ্গে জলের বোতল রাখেন। প্লাস্টিকের তৈরি বোতলে জল রাখা যে ক্ষতিকারক, তা নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে কাচ এবং তামার বোতল থেকেও অনেকে জল পান করে থাকেন। কিন্তু ব্যবহৃত জলের বোতলটি কি প্রতি দিন পরিষ্কার করা হয়?
একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অনেকেই তাঁদের জলের বোতল নিয়মিত পরিষ্কার করেন না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সপ্তাহে এক বার হয়তো বোতলটিকে পরিষ্কার করা হয়। অনেক সময় বোতলে অল্প জলও রয়ে যায়। তার মধ্যেই আবার জল ভরা হয়। জলের বোতল ভিজে থাকলে সময়ের সঙ্গে তার মধ্যে বিভিন্ন জীবাণু জন্ম নেয়। তার ফলে জলপানের পর পেট এবং শ্বাসনালির সংক্রমণের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে এই ধরনের বোতল থেকে জল পান করলে চর্মরোগ এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ হতে পারে।
আরও পড়ুন:
কী করা উচিত
১) জলের বোতলের ঢাকনা প্রতি দিন সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। কারণ জল জমে আগে বোতলের ছিপি বা ঢাকাতে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে। বোতলের উপরের অংশে কালো বা সবুজ ছোপ দেখলেই সাবধান হওয়া উচিত। এগুলি জীবাণু, ঠোঁটের সংস্পর্শে সেখান থেকে সহজেই সংক্রমণ হতে পারে।
২) জলপানের পর, দিনের শেষে বোতলের বাকি জল যেন ফেলে দেওয়া হয়, তা খেয়াল রাখা উচিত। বোতলটিকে উল্টো করে রেখে দিলে তা সকালের মধ্যে শুকিয়ে যাবে।
৩) বোতলের মধ্যে যদি কোনও শর্করা জাতীয় পানীয় (শরবত) রাখা হয়, তা হলে তা পান করে নেওয়ার পর গরম জলে বোতলটিকে ভাল করে ধুয়ে নেওয়া উচিত। শর্করার উপস্থিতিতেও বোতলে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে।
৪) ব্যবহৃত বোতলগুলিকে সপ্তাহে অন্তত এক বার সাবান জলে কয়েক ঘণ্টার জন্য ডুবিয়ে রাখা উচিত। তার পর ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নেওয়া উচিত।
৫) যে বোতলগুলি স্বচ্ছ নয়, তার মধ্যে ছত্রাক বা জীবাণুর উপস্থিতি বাইরে থেকে বোঝা যায় না। এ রকম ক্ষেত্রে সপ্তাহে দু’বার বোতল পরিষ্কার করলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।