শরীর-মন ভাল রাখতে যোগব্যায়াম জরুরি। ব্যস্ত জীবনে ক্রমশ গুরুত্ব বাড়ছে শরীরচর্চার। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, শরীরচর্চার সেই সময়টা কোথায়? কর্পোরেট কর্মজীবন অনেকেরই যাপনের ঘড়িটাকে উল্টে দিয়েছে। অথচ কেবল রোগা হতেই নয়, নানা রকম রোগবালাই ঠেকিয়ে রাখতেও নিয়ম করে যোগাসন করা একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে হাঁপানি বা সিওপিডির সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁদের জন্য যোগাসন বিশেষ ভাবে উপকারী। শ্বাসকষ্টের হাত থেকে রেহাই পেতে রোজ অভ্যাস করা যেতে পারে একহস্তপদ ভুজঙ্গাসন।
কী ভাবে করবেন?
• প্রথমে উপুড় হয়ে ম্যাটের উপর শুয়ে পড়ুন। দুই হাতের তালু কাঁধের পাশে মাটিতে রাখুন, কনুই থাকুক শরীর ঘেঁষে। এ বার কপাল মাটিতে রেখে চোখ বন্ধ করুন।
• এটি শুরুর অবস্থান। এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে মাথা ও বুক উপরের দিকে তুলুন। ভাঁজ করা হাত পাশে থাকবে।
• হাতে ভর না দিয়ে পেট-সহ শরীরের নীচের অংশে ভর দিয়ে মাথা ও বুক উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করতে হবে। খেয়াল রাখবেন নাভি যেন মাটি থেকে ৩ ইঞ্চি উপরে ওঠে।
• এবার একটি হাত ও বিপরীত দিকের পা উপরের দিকে তুলুন, অন্য হাত ও পা মেঝেতে দৃঢ় ভাবে রাখুন।
• ভারসাম্য বজায় রেখে কয়েক সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে থাকুন।
• শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
কী কী উপকার হবে?
মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে।
তলপেটের মেদ কমাতে পারে।
শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও সমস্যায় এই আসন উপকারী।
পা ও নিতম্বের মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে।
হজমশক্তি উন্নত করে।
মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
সতর্কতা
পিঠে আঘাত বা ব্যথা থাকলে এই আসন করা উচিত নয়।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই আসন করা উচিত নয়।
উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদ্রোগ থাকলে এই আসন করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।