চল্লিশের কোঠা পার করেছেন কী করেননি, পিঠে-কোমরে ব্যথা এসে থাবা বসাতে শুরু করেছে? বিশেষ করে যাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়, তাঁদের জীবনে শোয়া-বসা-চলার মতো পিঠের ব্যথাও যেন প্রাত্যহিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যথা যখন অল্পসল্প সমস্যা করছে, তখন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে সামাল দেন অনেকে। কিন্তু যখন ওষুধ আর কাজ করে না এবং ব্যথাও ক্রনিক হতে শুরু করে, তখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া গতি থাকে না। পিঠ, কোমর বা ঘাড়ের ব্যথায় নাজেহাল দশা যাঁদের, তাঁদের জন্য ব্যথা নিরাময়ের সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রয়েছে। তা হল যোগাসন। কয়েকটি আসন নিয়মিত অভ্যাসে পিঠের ব্যথা চিরতরে নির্মূল হবে।
পিঠের ব্যথা সারাতে অভ্যাস করতে পারেন মণ্ডুকাসন। নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে পিঠ-কোমরের যন্ত্রণা সেরে যাবে।
কী ভাবে করবেন মণ্ডুকাসন?
১) প্রথমে বজ্রাসনের ভঙ্গিতে বসুন। অর্থাৎ হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের উপর বসুন।
২) ধীরে ধীরে হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গি করুন।
৩) সামনের দিকে হাত দুটো ছড়িয়ে দিন। কিন্তু, হাতের তালু মাটিতে থাকবে না। থাকবে দুই বাহু।
৪) দু’টি পা ছড়িয়ে দিন দু’পাশে। এমন ভাবে ছড়াতে হবে, যেন দু’টি ঊরু এবং হাঁটু মাটি স্পর্শ করে থাকে। দেখতে অনেকটা ব্যাঙের মতো লাগবে। থুতনি, বুক, পেটও মাটির সঙ্গে ঠেকে থাকবে।
৫) এই অবস্থায় ৩০ সেকেন্ড থাকতে পারলে ভাল হয়। না হলে প্রথমে ১০ সেকেন্ড থাকুন। ধীরে ধীরে সময় বৃদ্ধি করবেন।
উপকারিতা
১) আচমকা পিঠ-কোমরের পেশিতে টান ধরে ব্যথা হলে এই আসন অভ্যাসে যন্ত্রণা কমবে।
২) মণ্ডুকাসন অভ্যাস করলে উদ্বেগ, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমবে।
৪) মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়বে, সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
কারা করবেন না?
পায়ে, হাঁটুতে কিংবা গোড়ালিতে চোট পেয়ে থাকলে এই আসন করবেন না।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা এই যোগাসন করবেন না।