ঋতুস্রাব চলাকালীন পেটে যন্ত্রণা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু যন্ত্রণা যদি অস্বাভাবিক হয়ে যায়, তখনই তা চিন্তার। অনেক মেয়েরই মাসের চারটে দিন ভারী ঋতুস্রাব হয়, সঙ্গে তলপেট ও শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে যন্ত্রণা শুরু হয়। অনেক সময়ে এই যন্ত্রণা এতটাই অসহ্য হয়ে ওঠে যে, ব্যথানাশক ওষুধ খেতেও বাধ্য হন অনেকে। এই ধরনের ব্যথাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে ‘ডিসমেনোরিয়া’। প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন মহিলা এই সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের কাছে মাসের ওই কয়েকটা দিন দুঃস্বপ্নের মতো। ওই সময়ে হরমোনের ওঠানামা, জরায়ুর সঙ্কোচনের কারণে পেট, তলপেট, কোমরে অসহ্য যন্ত্রণা হতে থাকে। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে বিশেষ কিছু যোগাসন অভ্যাসে। তার মধ্যে একটি হল জানু শীর্ষাসন।
কী ভাবে করবেন?
১) দুই পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে বুকের কাছে নিয়ে আসুন। তার পর ভাঁজ করা পা মাটিতে ঠেকান।
২) ডান পায়ের পাতার নীচের দিকটি বাঁ ঊরুর সঙ্গে লেগে থাকবে আর বাঁ পা সামনের দিকে ছড়িয়ে থাকবে।
৩) দু’হাত দিয়ে বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। শরীর ঝুঁকিয়ে কপাল বাঁ পায়ের হাঁটুতে এবং দু’কনুই বাঁ পায়ের দু’পাশে মেঝেতে রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গি ধরে রাখুন।
আরও পড়ুন:
৪) এ বার অগের অবস্থানে ফিরে আসুন। একই ভাবে ডান পা সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। এখন বাঁ পায়ের হাঁটু ভেঙে বুকের কাছে নিয়ে আসুন। ওই পায়েও একই ভাবে আসনটি করতে হবে।
৫) তার পর সোজা হয়ে দু’পা ছড়িয়ে বসুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। এ ভাবে পা বদল করে আসনটি ৫ বার করুন। প্রতি রাউন্ডের পরে শবাসনে বিশ্রাম নিতে হবে।
উপকারিতা:
আসনটি অভ্যাস করলে ঋতুস্রাবজনিত যাবতীয় সমস্যর সমাধান হবে।
রজোনিবৃত্তির সময় এগিয়ে এলে আসনটি অভ্যাস করতে পারেন। এতে রজোনিবৃত্তি পর্বের সমস্যাগুলি কম হবে।
আসনটি অভ্যাস করলে পেটের মেদ কমবে।
শরীরের নিম্নাংশের পেশির স্ট্রেচিং হয়, এই আসন করলে।
শরীরের গড়ন সুন্দর করতেও আসনটি করতে পারেন।
কারা করবেন না?
যাঁদের হার্নিয়ার মতো রোগ আছে, রোগ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আসনটি করা উচিত নয়।
হাঁটুর সমস্যা থাকলে এই আসনটি এড়িয়ে চলাই ভাল।