তলপেটের নাছোড় মেদ ঝরানো যেমন ঝক্কির, তেমনই কোমরের উপর জমতে থাকা পুরু চর্বির স্তর কমিয়ে ফেলাও যথেষ্টই কঠিন। যতই ডায়েট করুন না কেন, শরীরচর্চা ঠিকমতো না করলে পেট-কোমরের মাপ ঠিক হবে না। যদি তারকাদের মতো ক্ষীণ কটি পেতে হয়, তা হলে জিমে ছোটার দরকার নেই। সহজ আসনে বসে বসেই তা সম্ভব।
সুখাসনে বসেই করা যাবে আসনটি। যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন, 'পার্শ্ব সুখাসন'। সুখাসনে বসে পর্যায়ক্রমে ডান ও বাঁ পাশে ঝোঁকাই এই আসনের মূল বিষয়। পদ্ধতি যেহেতু সহজ, তাই খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই। জিমে গিয়ে কার্ডিয়ো বা স্ট্রেংথ ট্রেনিং করতে যাঁদের অনীহা, তাঁরা এই আসন করে দেখতে পারেন। সঠিক পদ্ধতিতে করতে পারলে উপকার হবে।
কী ভাবে করবেন?
১) ম্যাটের উপর সোজা হয়ে পা মুড়ে সুখাসনে বসুন। পিঠ টানটান থাকবে। মাথা ও ঘাড় সোজা থাকবে। শরীর ঝোঁকাবেন না।
২) এ বার ডান হাত মাটিতে রাখুন। শ্বাস নিতে নিতে বাঁ হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার উপরে তুলুন।
আরও পড়ুন:
৩) পিঠ সোজা রেখেই ডান দিকে ঝুঁকে যান। অর্থাৎ, শরীর এমন ভাবে পাশে ঝোঁকাবেন যে, ডান দিকের কোমরে যেন চাপ পড়ে। এই অবস্থায় ১৫-২০ সেকেন্ড থাকুন।
৪) এ বারে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বাঁ হাত মাথার উপর থেকে নীচে নামান।
৫) একই ভাবে শ্বাস নিতে নিতে ডান হাত উপরে তুলুন, তার পর শরীর পাশাপাশি বাঁ দিকে ঝোঁকান, যাতে বাঁ দিকের কোমরে চাপ পড়ে।
৬) ডান ও বাঁ দিক মিলিয়ে, ৫ সেট করে আসনটি করতে হবে।
উপকারিতা
পেট ও কোমরের মেদ ঝরবে।
ঋতুকালীন সমস্যা থাকলে তা দূর হবে।
পিঠ ও কোমরের পেশি সুগঠিত হবে।
সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। এই আসন অভ্যাসে হার্ট ও ফুসফুসও ভাল থাকে।
ঘাড় ও কাঁধে ব্য়থা থাকলে, তা কমে যাবে। ফ্রোজ়েন শোল্ডারের সমস্যা থাকলে ধীরে ধীরে এই আসন অভ্যাস করতে পারেন।
হজমশক্তি বাড়বে, অম্বলের সমস্যা কমবে।
কারা করবেন না?
হার্টের অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করবেন না।
মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।