জামরুল খেতে কমবেশি সকলেই ভালবাসেন। এই সময়টাই জামরুলের মরসুম। বাজারে সাদা, গোলাপি ও লাল রঙা জামরুল পাওয়া যাচ্ছে এখন। অনেকেই ভাবেন, কোন জামরুল বেশি উপকারী? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সাদা জামরুলই বেশি খাওয়া হয়। তবে পুষ্টিগুণে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই লাল জামরুল। এই ফলের গুণ অনেক। কারা খেলে বেশি উপকার পাবেন, তা জেনে রাখা ভাল।
লাল জামরুল কাদের জন্য ভাল?
ডিহাইড্রেশনে
এই জামরুলে জলের ভাগ প্রায় ৯০ শতাংশ। যাঁরা পেটের গোলমাল বা ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন, তাঁদের জন্য লাল জামরুল খুবই ভাল। এটি নিয়মিত খেলে শরীরে জল ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি মিটবে।
ডায়াবিটিসের রোগীরা খেতে পারেন
লাল জামরুলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম। পাশাপাশি অ্যালকালয়েডের মাত্রা বেশি যা ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখবে। প্রি-ডায়াবেটিক, ডায়াবেটিকদের জন্য লাল জামরুল খুবই উপকারী একটি ফল।
আরও পড়ুন:
অম্বলের সমস্যায়
অম্বল, বদহজমের সমস্যা বেশি থাকলে, লাল জামরুল অবশ্যই খেতে পারেন। যাঁদের হাইপার অ্যাসিডিটি বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থাকে, তাঁরা টক জাতীয় ফল বেশি খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে জামরুল খেলে হজমপ্রক্রিয়া আরও উন্নত হবে।
হাইপারটেনশনে
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা রোজের ডায়েটে রাখতে পারেন লাল জামরুল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। শরীরে রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
জামরুলে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। পাশাপাশি, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সক্রিয় যৌগ। প্রস্টেট এবং স্তনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই যৌগ। রোজ জামরুল খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
হাড় মজবুত করে
১০০ গ্রাম জামরুলে রয়েছে প্রায় ২৯ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম। ক্যালশিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত লাল জামরুল খেলে বাতের ব্যথাবেদনাও অনেক কমবে।