ব্যস্ততার কারণে সারা দিন পরিশ্রমের পর কিছুটা আলস্য থেকেই শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেওয়ার সময় অনেকেরই হয়ে ওঠে না। কাজের ফাঁকে অনিয়ম, খিদে পেলে বাইরের খাবারের উপর ভরসা রাখা ছাড়া উপায় থাকে না। এর ফলে গ্যাস, অম্বল, বদহজম হয়ে উঠছে নিত্যসঙ্গী। অনেকেই নিয়মিত হজমের ওষুধ খান। কেউ বা ঘরোয়া কোনও উপাদানে ভরসা রাখেন। বুক জ্বালা, চোঁয়া ঢেকুর, এ সবের সমস্যা তাও পুরোপুরি কাটে না। কেবল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই নয়, হজমের সমস্যা কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করাও প্রয়োজন। এমন কিছু আসন আছে যা অভ্যাস করলে পেটের মেদ যেমন কমবে, তেমনই বাড়বে হজমশক্তিও। তার মধ্যেই একটি হল শলভাসন।
কী ভাবে করবেন শলভাসন?
১) উপুড় হয়ে ম্যাটের উপর শুয়ে পা দু’টি একসঙ্গে টান টান করে রাখুন। দুই হাত রাখুন দুই ঊরুর নীচে। এটিই আসন শুরুর ভঙ্গি।
২) ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে বাঁ পা উপরের দিকে তুলুন। হাঁটু যেন ভাঁজ হয়ে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখবেন। ডান পা একেবারে টান টান থাকবে।
৩) এই অবস্থানে থাকুন ৫ সেকেন্ড। এর পর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা নীচে নামান। নিতম্ব যেন একই জায়গায় থাকে।
আরও পড়ুন:
৪) একই পদ্ধতিতে শ্বাস নিতে নিতে দুই পা উপরের দিকে তুলুন। ৫ সেকেন্ড এই অবস্থানে থেকে শুরুর ভঙ্গিতে ফিরে আসুন। এই ভাবে তিন সেট অভ্যাস করতে হবে।
৫) প্রতিটি সেট অভ্যাসের পর উপুড় হয়ে শুয়ে বিশ্রাম নেবেন।
৬) শুরুতে পা বেশি উঁচুতে না উঠলেও কয়েক দিন অভ্যাসের পর বেশি উচ্চতায় তুলতে পারবেন।
কেন করবেন?
শলভাসন অভ্যাসে তলপেটের মেদ দ্রুত কমবে।
পেট, কোমর, ঊরুতে জমা অতিরিক্ত মেদ ঝরবে, নিতম্বেরও ব্যায়াম হবে।
শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
এই ব্যায়ামে সারা শরীরের স্ট্রেচিং হবে, হাত ও পায়ের পেশি টানটান হবে।
মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়বে নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে।
কারা করবেন না?
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই আসন করা যাবে না।
পিঠ ও মেরুদণ্ডে আঘাত থাকলে, আসনটি করা উচিত হবে না।