পিঠের ব্যথায় কাতর হলে ব্যথানাশক ওষুধের বদলে কাজে আসতে পারে যোগাসনের কিছু বিশেষ পদ্ধতি। সারা দিন ঠায় বসে থেকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা পিঠ-কোমরের ব্যথাবেদনার বিষয়ে বিলক্ষণ জানেন। আর শুধু পিঠ, মাথা ঝুঁকিয়ে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থেকে ঘাড়েও অসহ্য ব্যথা ভোগায়। পিঠ বেয়ে সেই ব্যথা নামে পা অবধি। সেই সঙ্গে ক্লান্তি, ঝিমুনি তো রয়েছেই। ব্যথানাশক ওষুধে কাজ হয় সাময়িক, কিন্তু সেগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। তার চেয়ে যোগাসনই ব্যথা নিরাময়ের সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি। বিপরীত নমস্কার বদ্ধ কোণাসন নিয়মিত অভ্যাস করলে ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে যেমন, তেমনই অন্যান্য উপকারও হবে।
কেন করবেন বিপরীত নমস্কার বদ্ধ কোণাসন?
১) পিঠ ও কোমরের ব্যথা দূর হবে।
২) ঊরুর মেদ কমবে এবং পায়ের পেশি শক্তিশালী হবে।
৩) নিয়মিত অভ্যাসে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
৪) সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে হবে, ফলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সক্রিয়তা বাড়বে।
৫) অতিরিক্ত ক্লান্তি, ঝিমুনি দূর হবে।
৬) ঋতুস্রাব জনিত সমস্যা কমবে, তলপেটে যন্ত্রণা ভোগালে এই আসন অভ্যাস করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে করবেন?
১) প্রথমে কোমর-পিঠ টান টান করে ম্যাটের উপর বসুন।
২) দুই হাঁটু ভাঁজ করে দুই পায়ের পাতা জননাঙ্গের কাছে টেনে আনুন।
৩) পায়ের পাতা মুখোমুখি প্রণামের ভঙ্গিতে রাখুন।
৪) এ বার দুই হাত পিছনে পিঠের দিকে নিয়ে যান। দুই হাত মুঠো করে রাখতে হবে।
৪) লম্বা শ্বাস নিয়ে সামনে দিকে ঝুঁকে মাথা দিয়ে মাটি স্পর্শ করুন।
৫) খেয়াল রাখতে হবে, কোন ভাবেই যেন মেরুদণ্ড ভাঁজ হয়ে বেঁকে না যায়।
৭) শুরুর দিকে এই আসন করতে অসুবিধা হতে পারে। তাই পেট মুড়ে সামনের দিকে ঝুঁকতে না পারলে সোজা হয়ে বসে থাকতে পারেন।
৮) এই অবস্থায় থাকুন মিনিট দুয়েক। তার পর আবার আগের অবস্থানে ফিরে যান।
কারা করবেন না?
পিঠে কোনও চোট-আঘাত থাকলে এই আসন না করাই ভাল।
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করবেন না।
অন্তঃসত্ত্বারা নিজে থেকে এই আসন অভ্যাস করতে যাবেন না।
হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হলে এই আসন করা যাবে না।