পায়ে ব্যথা কমবেশি সকলেরই হয়। কিন্তু যদি দেখেন, পায়ের পেশিতে মাঝেমধ্যেই টান ধরছে, হাঁটুর নীচ থেকে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে, তা হলে সতর্ক হতেই হবে। পায়ের ব্যথা মানেই কিন্তু বাত নয়। আবার পায়ে ব্যথা মানেই তা কেবল পেশির যন্ত্রণা, তা না-ও হতে পারে। রক্তে কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্ত হলে, তা থেকে পায়ের যন্ত্রণা ভোগাতে পারে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে পায়ের ধমনীতে স্নেহ পদার্থের আস্তরণ তৈরি হয়। ফলে রক্ত চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে আসতে পারে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘প্লাক’ তৈরি হওয়া। এ থেকে শুধু পায়ে নয়, ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে নিতম্ব ও পিঠের পেশিতেও। ইদানীং কালে কোলেস্টেরলের সমস্যা ঘরে ঘরে। তা থেকে নানা রকম রোগও বাড়ছে। কাজেই সুস্থ থাকতে হলে শুধু ওষুধ খেলেই হবে না, সেই সঙ্গে শারীরিক কসরতও জরুরি। এমন একটি আসন আছে যা অভ্যাস করলে পা, পিঠ ও নিতম্বের যন্ত্রণা কমবে। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে হবে।
পা ও নিতম্বের ব্যথাবেদনা কমাতে উপযুক্ত একটি আসন হল যোগানন্দাসন। ফিটনেট প্রশিক্ষকেরা এই আসনের ভঙ্গিমাকে বলেন ‘স্ট্যান্ডিং ওয়ান লেগ ব্যালান্স পোজ়’। শরীরের ভারসাম্য রাখতেও এই আসন উপযোগী।
কী ভাবে করবেন?
১) ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। শরীর টানটান থাকবে।
২) বাঁ পা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। এ বার হাঁটু ভেঙে দাঁড়ান।
৩) ডান পা পিছনে অনেকটা প্রসারিত করতে হবে। শরীরের উপরের অংশ টানটান থাকবে।
৪) এ বার দু’হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে মাথার উপরে তুলুন।
৫) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ওই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ড থেকে আবার পা বদলে আসনটি করতে হবে।
উপকারিতা
১) নিয়মিত অভ্যাসে পা, পিঠ ও নিতম্বের পেশির ব্যায়াম হবে।
২) শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে।
৩) পেশির নমনীয়তা বাড়বে, সারা শরীরের স্ট্রেচিং হবে।
৪) নিতম্বের পেশির অসাড়তা কাটবে, শরীরের পেলভিক অংশের ব্যায়াম হবে।
৫) এই আসন করলে হার্টও ভাল থাকবে।
কারা করবেন না
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আসনটি করার আগে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে নিজে থেকে আসনটি করতে যাবেন না।