ভুট্টার হরেক গুণ। ছবি: সংগৃহীত
পপকর্ন চিবোতে চিবোতে পছন্দের ছবি দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু গাণ্ডেপিণ্ডে পপকর্ন গিললে ছবির পরে পেটে দেখা দিতে পারে বড়সড় দুর্যোগ। তবে ভুট্টা সরাসরি খেলে কিন্তু অন্য কথা। দানা হিসাবে খেলে সেই ভুট্টাই হয়ে উঠতে পারে সুস্বাস্থ্যের খনি।
১। হার্ট এবং হাড়ের স্বাস্থ্যরক্ষায়
ভুট্টায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে এবং হৃদ্স্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। এটি হৃদ্রোগ এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও কমায়।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
ভুট্টা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে মনে করেন কেউ কেউ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ভুট্টায় থাকে ফেরুলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই উপাদানগুলির উপস্থিতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে জারণঘটিত ক্ষয় থেকে রক্ষা করতেও সহায়তা করে।
৩। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে
ভুট্টা এমন একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা, যা সহজেই হজম হয়ে যায়। উপরন্তু, এটি স্টার্চ ও চর্বিমুক্ত। ভুট্টায় যে ধরনের কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়, তা সহজেই ডেক্সট্রিনে রূপান্তরিত হয়। এই ডেক্সট্রিম শরীরে সহজেই শোষিত হয়। পাশাপাশি, এই উপাদানটি খাদ্যনালীর সুষম সঙ্কোচন ও প্রসারণকে উদ্দীপিত করে। ফলে কমতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য।
৪। ওজন নিয়ন্ত্রণে
ভুট্টায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেলে সহজে পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি তৈরি হয়, দীর্ঘক্ষণ পেটে থাকে। সব মিলিয়ে ভুট্টায় দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরাট থাকে, বার বার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এতে ওজন হ্রাসে সাহায্য হতে পারে। তবে শুধু ওজন কমাতে নয়, ওজন বাড়াতেও ভুট্টা ব্যবহার করা যেতে পারে। ভুট্টার উপর মাখন মাখিয়ে খেলে ক্যালোরির পরিমাণ বেশ বেড়ে যেতে পারে।
৫। অ্যানিমিয়া কমাতে
ভুট্টাতে থাকে আয়রন। রক্তাল্পতা এবং অন্যান্য রক্ত সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় সহায়তা করে আয়রন। পাশাপাশি, ভুট্টা যথাযথ পরিমাণে খেলে তা রক্তকণিকা গঠনেও সহায়তা করে।
তবে মনে রাখবেন সবার শরীর সমান নয়। তাই সবাই সব খাবার খেতে পারবেন, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই কোনও খাবার খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy