খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ে সকলেই চিন্তায় থাকেন। রক্তে এর মাত্রা বেড়ে গেলেই ক্ষতি। বর্ধিত কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তবে যদি কোলেস্টেরল খুব কমে যায়? সে ক্ষেত্রেও কিন্তু বিষয়টি একই রকম চিন্তার। স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত কম কোলেস্টেরল নানা শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে উঠবে।
কোলেস্টেরলের ভাল দিকও আছে
কোলেস্টেরল ভাল হয়, আবার খারাপও। ভাল কোলেস্টেরল (এইচডিএল) হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে, ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে। আর খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) হার্টের ধমনীতে জমতে জমতে রক্ত চলাচলের পথে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে চিন্তাও বাড়ে। তবে যদি কোলেস্টেরল খুব কমে যায়, তখনও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি হলেই বিপদ। সাধারণত, পুরুষদের ক্ষেত্রে রক্তে ভাল কোলেস্টেরল (এইচডিএল)-এর স্বাভাবিক মাত্রা হওয়া উচিত প্রতি ডেসিলিটারে ৪০ মিলিগ্রাম এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫০ মিলিগ্রাম। এর চেয়ে কমে গেলে তখনই ক্ষতি।
কোলেস্টেরল খুব কমে গেলে কী কী লক্ষণ দেখা দেবে?
রক্তে কোলেস্টেরল খুব কমে যাওয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘হাইপোলিপিডেমিয়া’। এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। দুশ্চিন্তা, অবসাদ বেড়ে যায়। এর থেকে হেমারেজিক স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।
ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে চর্বিতে দ্রবণীয়। কোলেস্টেরল কম থাকলে শরীর এই ভিটামিনগুলি শোষণ করতে পারে না।
অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে রক্তে কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা কমে গেলে সময়ের আগে সন্তানের জন্ম হতে পারে। অথবা জন্মানোর পরে শিশুর ওজন খুব কম হতে পারে।
কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে যেমন ওষুধ খেতে হয়, কমে গেলেও তাই। তবে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।