কালশিটে পড়া কোন রোগের লক্ষণ? ছবি: শাটারস্টক
একটু চোট পেতেই কালশিটে পড়ে গেল? অনেকেই এ রকম সমস্যায় পড়েন। কখনও কখনও আবার এমনও হয় যে কোথায় বা কখন লাগল সেটাই মনে করতে পারছেন না, কিন্তু বেশ বড় কালশিটে পড়ে গিয়েছে। আর তার সঙ্গে বেজায় ব্যথাও। কখনও কখনও চোট-আঘাত লাগলে মাঝেমধ্যে পড়তেই পারে। কিন্তু হঠাৎ এক দিন সকালে ঘুম খেকে উঠে দেখলেন যে শরীরের কোনও নির্দিষ্ট অঙ্গে কোনও কারণ ছাড়াই কালশিটে পড়েছে, তা হলে কিন্তু ভাবার বিষয়। হতেই পারে এটি বড় কোনও রোগের উপসর্গ।
অনেক সময় বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কিংবা নির্দিষ্ট কোনও ওষুধের প্রভাবেও হাতে-পায়ে কালশিটে পড়তে পারে। অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। তাই এই ধরনের ওষুধ খেলে কালশিটে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
আর কোন কোন কারণে শরীরে কালশিটে পড়তে পারে?
১) রক্ত ঠিক মতো জমাট না বাঁধলে কিংবা রক্ত জমাট বাঁধতে দেরি হলে কিন্তু কালশিটে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। সেই কারণে হেমোফিলিয়া জাতীয় রক্তের কোনও রোগ থাকলে কালশিটে পড়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
২) ঘন ঘন কালশিটে পড়া কিন্তু হতে পারে ক্যানসারের লক্ষণ। ব্লাড ক্যানসার বা অস্থিমজ্জায় ক্যানসার হলে কালশিটে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।
৩) লিভার সিরোসিসের কারণেও কিন্তু দেখা দিতে পারে কালশিটে। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে সাধারণত এই অসুখ হয়। লিভারের যে প্রোটিনটি রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে, সেই প্রোটিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এই অসুখ। লিভারের অসুখেরও উপসর্গ হতে পারে কালশিটে।
৪) ঘন ঘন কালশিটে পড়ছে মানে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতিও হতে পারে। ভিটামিন সি বা ভিটামিন কে-র অভাব ঘটলেও কালশিটে পড়তে পারে। বিশেষ করে শরীরে ভিটামিন কে-র পরিমাণ বেশি কমে গেলে কালশিটে পড়ার প্রবণতা জন্মায়।
৫) অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রেও কালশিটে একটি উপসর্গ হতে পারে। এই প্রকার রোগ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই কমে যায় যে, শরীর রোগের মোকাবিলা করতে পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy