Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Viral infection

লাল, কালো, গোলাপি না সাদা? কোন রঙের কফ কোন রোগের ইঙ্গিত?

শ্লেষ্মা মাত্রেই ক্ষতিকর নয়। ফুসফুস, শ্বাসনালির ভিতরের এলাকা আর্দ্র রাখে। যে কোনও রকম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শ্লেষ্মা। কফের রং স্বচ্ছ হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই, তবে কফের রং বদলে গেলেই মুশকিল।

কফের রং দেখে কী ভাবে রোগ চিনবেন?

কফের রং দেখে কী ভাবে রোগ চিনবেন? ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪৭
Share: Save:

গরম পড়েছে ভালই। তবুও সংক্রমণের ঠেলায় সর্দি, কাশি, জ্বর কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। বাড়িতে এক জন সুস্থ হলে অন্য জন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। গলায় কফ দলা পাকিয়ে থাকছে, বুকের ভিতর ঘড়ঘড় করছে। সেই কফ যখন ফেলা হয় তখন তার রং হয় বিভিন্ন রকম। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কফ দিয়েই কিন্তু শরীরের হাল-হকিকত জানা সম্ভব। সংক্রমণের মাত্রা কতটা গুরুতর, তা নাকি বলে দিতে পারে কফের রং। তবে শ্লেষ্মা মাত্রেই ক্ষতিকর নয়। ফুসফুস, শ্বাসনালির ভিতরের এলাকা আর্দ্র রাখে। যে কোনও রকম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শ্লেষ্মা। কফের রং স্বচ্ছ হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই, তবে কফের রং বদলে গেলেই মুশকিল।

কফের রং দেখে কী ভাবে রোগ চিনবেন?

হলুদ: শরীরে বড় রকম কোনও সংক্রমণ হলে সাধারণত কফের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। বিশেষ করে সাইনাসের সমস্যা বাড়লে এমন হয়। তাই কফের রং এমন হলে সাবধান। দ্রত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কালো: আপনার কফের রং হালকা কালো হলে বুঝতে হবে আপনি অত্যন্ত দূষিত পরিবেশে বসবাস করছেন। এ ছাড়া, মিউকারমাইকোসিস নামক রোগের ক্ষেত্রে কফের রং কালচে হয়ে যায়। মিউকারমাইকোসিস খুব বিরল ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ।

গোলাপি বা লাল: অনেক সময়ে ফুসফুসে এক ধরনের তরল জমা হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘এডিমা’। দীর্ঘ দিন ধরে বুকে কফ বসে থাকার কারণে সংক্রমণ হয়। আর এই সংক্রমণের ফলে এক ধরনের তরল ফুসফুসে জমা হতে থাকে। তার জেরেই শ্লেষ্মার রং বদলে যায়। এ ছাড়া, অনেক সময়ে নাকের টিস্যু ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। সে কারণেও কফের রং লালচে হয়ে যেতে পারে।

থকথকে, একটু বেশি সাদা, ঘন শ্লেষ্মা হলেও কিন্তু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

থকথকে, একটু বেশি সাদা, ঘন শ্লেষ্মা হলেও কিন্তু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ছবি: শাটারস্টক।

বাদামি: অতিরিক্ত ধূমপান করেন? সে ক্ষেত্রে কিন্তু কফের রং বাদামি হতে পারে। মূলত দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে ফুসফুসের পরিবর্তন হয়। ব্রঙ্কাইটিস হওয়ারও একটা আশঙ্কা থাকে। এতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কফ জমা হতে থাকে। কখনও কখনও কফের সঙ্গে রক্তও ওঠে।

সাদা: থকথকে, একটু বেশি সাদা, ঘন শ্লেষ্মা হলেও কিন্তু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এমনটা হলে জানবেন, আপনার নাকের কোষগুলি সংক্রমণজনিত কারণে ফুলে গিয়েছে। ফলে আগের মতো স্বাভাবিক ভাবে শ্লেষ্মা আর বাইরে আসতে পারছে না। পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবে শ্লেষ্মার প্রকৃতি এমন হচ্ছে। ব্রঙ্কাইটিস বা সাইনাসের কারণেও এমন হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Viral infection Infection
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE