ব্যস্ত জীবনে এক মুহূর্ত বিশ্রামের সময় নেই। নিত্য দিনের ব্যস্ততা নেই। ফলে কর্মরতদের ক্ষেত্রে এখন বাড়িতে আরামে বসে দুপুর বা রাতের খাবার খাওয়ার সময় প্রায় কারও প্রায় নেই। চোখের নিমেষে খাওয়া শেষ! কিন্তু এই দ্রুততা কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল? চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দ্রুত খাবার খেলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন।
যে কোনও খাবার ধীরেসুস্থে ভাল করে চিবিয়ে খাওয়া উচিত। দ্রুত খাবার খেলে, খাবার মুখের মধ্যে ছোট ছোট কণায় পরিণত হয় না। ফলে মোটা দানার খানা পাকস্থলীতে গিয়ে পৌঁছয়। ছোট আকারের খাদ্য কণা হজম করতে পাকস্থলীকে যতটা দ্রুত কাজ করতে হয়, খাবার ঠিক মতো চিবনো না হলে, সেই কর্ম ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিতে হয় পাকস্থলীকে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। বড় খাবারের টুকরোর সঙ্গে পাকস্থলীতে হাওয়ার পরিমাণও বাড়ে। ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
খাবার যদি ভাল করে চিবিয়ে খাওয়া না হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা কম খেয়েছি, না কি বেশি, অনেক সময়েই মস্তিষ্কে সেই সিগন্যাল ঠিক মতো পৌঁছয় না। এই অভ্যাস দীর্ঘ দিন স্থায়ী হলে তখন দেহের ওজন বাড়তে থাকে।
পাকস্থলীকে যদি বার বার খাবার হজম করাতে বেশি কর্মক্ষম হতে হয়, সে ক্ষেত্রে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হতে পারে। ফলে তখন পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে খাবার খেলে পাকস্থলী তার নিয়মমাফিক খাবার হজম করে। ফলে এই ধরনের সমস্যা হয় না। দ্রুত খাবার খেলে সময়ের সঙ্গে কারও বিপাকক্রিয়ার ক্ষমতাও কমতে শুরু করে।
খাওয়ার সময় অনেকেই জল পান করেন। এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই পেট ভরে যায়। ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় না। খাওয়ার সময়ে জল না খেতে তার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে জল খাওয়া উচিত। এর ফলে অম্বলের সমস্যা হয় না। খাওয়ার পরেও জল পান করতে হলে কম পক্ষে ১৫ মিনিট পর করা উচিত।