চটজলদি খাবার খেয়ে উঠে পড়েন অনেকেই। খাবার চিবিয়ে খাওয়ার সময়ও নেই যেন তাঁদের হাতে। এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। খাবার যত চিবিয়ে খাওয়া হয়, তত হজম ভাল হয়, এমনটাই মত চিকিৎসকদের। খাবার না হয় চিবিয়ে খাওয়া হল, কিন্তু জলও চিবিয়ে খেতে হয়, এমনটা শুনেছেন কখনও?
চিকিৎসকেরা বলছেন, জল চিবিয়ে খাওয়া ভাল। দীর্ঘ ক্ষণ জল না খাওয়ার পর এক বারে অনেকটা পরিমাণ জল খেয়ে ফেললে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। সেই কারণে চিকিৎসকরা সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে জল চিবিয়ে খেতে বলেন বলেন। জল আবার চিবিয়ে খাবেন কী ভাবে, এই প্রশ্ন অনকের মনেই আসতে পারে। জল চিবিয়ে খাওয়ার আক্ষরিক অর্থ হল, গ্লাসে চুমুক দিয়ে মুখে অল্প অল্প করে জল নিয়ে একে বারে ধীর গতিতে ঢোক গিলতে হবে।
দল চিবিয়ে খেলে কী লাভ হয়?
সময় নিয়ে জল খেলে মুখের ভিতরে থাকা লালারসের সঙ্গে জল মিশে যায়। এর ফলে হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। পানীয় খাদ্যনালি দিয়ে যে প্রবেশ করতে চলেছে, সেই সঙ্কেত পৌঁছে দেয় পাকস্থলীতে। কিন্তু তড়িঘড়ি অনেকটা পরিমাণ জল একবারে খেয়ে ফেললে মুখগহ্বর, খাদ্যনালি এবং পাকস্থলীর স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ঢোঁক গেলার আগে মুখের মধ্যে বেশ খানিক ক্ষণ জল রেখে, ঘুরিয়ে, সময় নিয়ে খেলে লালারস ক্ষরণের পরিমাণ বাড়ে। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যাও কমে। গ্যাস, অম্বল, বদহজমের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় এই অভ্যাস। অনেকটা জল ঢক ঢক করে খেয়ে নিলে পেট ভার হয়ে যায়, অস্বস্তি শুরু হয় শরীরে। জল চিবিয়ে খেলে সেই সমস্যা হয় না।
সময় নিয়ে জল খাওয়ার অভ্যাসে গলার পেশি সক্রিয় হয়। মুখ, গলা, খাদ্যনালির আর্দ্রতা বজায় থাকলে শুকনো কাশি, বিষম লাগা কিংবা হেঁচকি ওঠার সমস্যাতে ভুগতে হয় না। চিবিয়ে জল খেলে শরীরের প্রায় সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে জল শোষণ করতে পারে। দ্রুত প্রস্রাবের বেগ আসে না। রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে।