মাথায়, ঘাড়ে, কপালে চাপ চাপ খুশকি হয়? আপনি কি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন এই সমস্যার সঙ্গে? ভাবছেন, এতে আবার দুশ্চিন্তার কী আছে, শ্যাম্পু করলেই খুশকি কমে যাবে। কিন্তু এতও সহজ নয়। খুশকির বাড়বাড়ন্ত হলে চোখের পলকেও খুশকি হতে পারে। এমনটা হলে তখন আর নিশ্চিন্তে থাকা উচিত নয়। এর থেকে চোখে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। তাই জেনে নিতে হবে চোখের খুশকি কী ভাবে ক্ষতি করতে পারে, কী ভাবে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এই সমস্যা থেকে।
চোখের পলকে খুশকি। চিকিৎসার ভাষায় যাকে বলে ব্লেফারাইটিস। চোখের পাতায় বা পলকের আশপাশের ত্বক যদি শুষ্ক হয়ে যায়, তা হলে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চোখের পলকে আটকে থাকে সাদা বা হলদেটে খুশকি। অনেক ক্ষেত্রে চোখের ভিতরে পড়ে যায় খুশকি। চোখের পলকে খুশকির সমস্যা সাধারণত সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বা ডেমোডেক্স মাইট অত্যধিক বেড়ে গেলে হতে পারে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরজীবীগুলি দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়।
খুশকির বাড়বাড়ন্ত হলে চোখের পলকেও খুশকি হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
কী কী ভাবে চোখের ক্ষতি করতে পারে?
চোখের শুষ্কতা: চোখের পলক থেকে খুশকির টুকরো চোখে ঢুকে যেতে পারে। চোখের পাতার ধারে যে তেলগ্রন্থি থাকে, তার সামনে গিয়ে আটকে দিতে পারে। চোখের জল উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে এর ফলে। আর চোখে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।
সংক্রমণ: শুষ্ক চোখে ক্রমাগত চুলকানি হয়, অস্বস্তি থাকে। চোখের পলকে ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নিতে পারে। এর থেকে জয় বাংলায় আক্রান্ত হতে পারে চোখ।
কর্নিয়ার ক্ষতি: এই সমস্যা যদি গুরুতর হয়ে যায়, তা হলে দীর্ঘ প্রদাহ এবং অস্বস্তির কারণে কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে এর ফলে।
কী ভাবে মুক্তি পাওয়া যায়?
১। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখাই আসল মন্ত্র। চোখের পলক নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। গরম জলে শিশুদের শ্যাম্পু মিশিয়ে চোখ ধোয়া যায়।
২। গরম সেঁক দিলে অনেক সময়ে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৩। পরিস্থিতি খুব গুরুতর হয়ে গেলে ওষুধ প্রয়োগ করতে হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোনও মলম বা ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
৪। ছোট ছোট পরজীবীর কারণে খুশকি হয়ে থাকলে টি ট্রি অয়েলযুক্ত ক্লিনজ়ার ব্যবহার করা যায়।
৫। চোখে খুশকি হলে কিছু দিন আই মেকআপ না করাই ভাল। নয়তো অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে।