আমলকি আর অ্যালো ভেরা— চুলের স্বাস্থ্যে দুয়ের উপকারিতাই অপরিসীম। গো়ড়া থেকে চুলে পুষ্টি জোগাতে পারে দুই উপাদান। কিন্তু কোনটি মাখলে একটু বেশি ভাল, সে প্রশ্ন বার বার জাগে? আমলকি ও অ্যালো ভেরার মধ্যে কে সেরা, তা জানতে ইচ্ছে করে? আপনি কোনটি ব্যবহার করবেন? এই ধন্দের অবসান ঘটুক এ বার।
আমলকি: ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, আয়রনে ভরপুর। কেবল চুলের জন্য নয়, ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্যও আমলকি খুব উপকারী। চুল ঝরে পড়া কমানো, রক্তসঞ্চালন উন্নত করা, চুলে পাক ধরা কমানো ইত্যাদির জন্য কার্যকরী। আমলকির তেল চুলে মাসাজ করা যায় বা আমলকির গুঁড়ো দিয়ে বানানো মাস্ক মাখা যায় অথবা আমলকির রস পান করা যায়। সবেতেই উপকার মিলবে।
কেবল চুলের জন্য নয়, ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্যও আমলকি খুব উপকারী। ছবি: সংগৃহীত।
অ্যালো ভেরা: রোদে পোড়া মুখের ত্বকে অ্যালো ভেরা মাখার পর যে শীতল অনুভূতি মেলে, তেমন ভাবেই মাথার ত্বককেও ঠান্ডা করে চুলের গোড়াকে ভাল রাখে। ভিটামিন, উৎসেচকে ভর্তি অ্যালো ভেরা মাথার শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে, হাইড্রেটেড রাখে, জ্বালাপোড়া কমায়। চুল গজানোর জন্য মাথার ত্বককে প্রস্তুত করে। অ্যালো ভেরা গাছ থেকে পাতা কেটে জেলি বার করে সরাসরি মাথায় মেখে নেওয়া যায়।
ভিটামিন, উৎসেচকে ভর্তি অ্যালো ভেরা মাথার শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে। ছবি: সংগৃহীত।
তুলনামূলক আলোচনা
দুই উপাদানই চুলের জন্য উপকারী। সব রকম উপকারিতা রয়েছে দুয়ের মধ্যেই। তবে আমলকি চুলের জন্য বেশি, অ্যালো ভেরা মাথার ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। যদি দেখেন, চুল ঝরে যাচ্ছে, চুলের ঘনত্ব পাতলা হয়ে যাচ্ছে, তা হলে আমলকির সাহায্য নিতে পারেন। যদি মাথার ত্বকে শুষ্কতা, রুক্ষতা, খুশকির সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে অ্যালো ভেরা বেশি উপকারী। তবে সেরা ফল পেতে হলে দু’টি উপাদানই ব্যবহার করা উচিত। পরস্পরবিরোধী নয় আমলকি আর অ্যালো ভেরা, তাই সপ্তাহে দু’দিন দুই উপাদান ব্যবহার করুন অথবা একই সঙ্গে আমলকি আর অ্যালো ভেরার মাস্ক মেখে নিতে পারেন।