আবহাওয়া বদলাচ্ছে দ্রুত। ক্রমেই জাঁকিয়ে বসছে শীতও। আর আবহাওয়া যে বদলাচ্ছে তা টের পাওয়া যাচ্ছে সর্দি-কাশি, জ্বরের মধ্যে দিয়ে। সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতকালে বাঙালির ঘরে ঘরে মেলে চ্যবনপ্রাশের শিশি। আমলকি, লবঙ্গ, তুলসী, বাসক, পিপুল-সহ একাধিক ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক পথ্যের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হয় এই চ্যবনপ্রাশ। বাজারজাত কিছু কিছু চ্যবনপ্রাশে ৫০ রকমের ভেষজ ঔষধি এবং নির্যাস থাকে বলেও দাবি করে কয়েকটি সংস্থা।
বিশেষ করে, শিশু বা বাড়ির বয়স্কদের সুস্থ রাখতে চ্যবনপ্রাশের জুড়ি মেলা ভার। এই পথ্যের উল্লেখ রয়েছে প্রাচীন আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও। কিন্তু জানেন কি কিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হয় চ্যবনপ্রাশ?
আরও পড়ুন:
দুধ: আয়ুষ মন্ত্রক পরামর্শ অনুসারে, দৈনিক ১০ গ্রাম অর্থাৎ এক চা চামচের মতো চ্যবনপ্রাশ খাওয়া উচিত। অনেকেই খালি পেটে দুধের সঙ্গে চ্যবনপ্রাশ খান। করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতি দিন চ্যবনপ্রাশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সুস্বাস্থ্যও বজায় রাখে এই পথ্য। আসলে শুধু চ্যবনপ্রাশ খেলে অনেক ক্ষেত্রে পেট জ্বালার সমস্যা হতে পারে। দুধের সঙ্গে খেলে অনেকের সেই সমস্যা হয় না। তবে যাঁরা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট, তাঁদের দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ সহ্য হয় না। সে ক্ষেত্রে দুধ এড়িয়ে গেলে কোনও সমস্যা নেই।
মধুতে রয়েছে একাধিক জীবাণুনাশক গুণও, যা চ্যবনপ্রাশের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। —ফাইল চিত্র
মধু: অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমনিতেই চ্যবনপ্রাশে মধু মেশানো থাকে। কিন্তু শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে মধুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। মধুতে রয়েছে একাধিক জীবাণুনাশক গুণও, যা চ্যবনপ্রাশের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে এক চামচ মধুতে চ্যবনপ্রাশ মিশিয়ে নিলে স্বাদও বাড়ে খেতেও সুবিধা হয়। তবে ডায়াবিটিসে সমস্যা থাকলে এই পদ্ধতি এড়িয়ে চলাই ভাল।
গরম জল: মধু বা দুধের মতোই গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে চ্যবনপ্রাশ খাওয়ারও চল রয়েছে। যাঁরা দুধ সহ্য করতে পারেন না, তাঁরা প্রতিদিন সকালে এক চামচ চ্যবনপ্রাশ ইষদুষ্ণ জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে মিলতে পারে উপকার। আয়ুষ মন্ত্রকও বলছে, যাঁদের হাঁপানি বা অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগ রয়েছে তাঁরা এ ভাবে চ্যবনপ্রাশ খেলে আরাম মিলতে পারে।