অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
ছুটি শব্দটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রাণখোলা আনন্দ, একরাশ খুশি। আট থেকে আশি— বাঙালির মন ছুটি পেলেই পালাই পালাই করে ওঠে।বিশেষ করে শীতকাল এলেই বেড়ানোর নেশা যেন জোঁকের মতো চেপে ধরে। বড়দিন, নতুন বছর সব মিলিয়ে সামনে বেশ একটা লম্বা ছুটি পেতে চলেছেন অনেকেই। পাহাড় থেকে সমুদ্র, জঙ্গল অথবা মরুভূমি— পরিকল্পনা করে সেরে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। তবে অনেকেই আছেন যাঁরা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতে মন ভাল রাখতে বেড়াতে যেতে চান। কাছাকাছি ঘুরে এলে মন ও শরীর— দুইয়ের উপরই এর ভাল প্রভাব পড়ে। অবশ্য এর একটি পোশাকী নামও রয়েছে— বেবিমুন। তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য সময়ের তুলনায় খানিক বাড়তি সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন।
বেবিমুনে যাওয়ার সঠিক সময় কোনটি?
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেকসময় শারীরিক নানা উপসর্গের পাশাপাশি মনেরও গতিপথ পরিবর্তন হতে থাকে। তাই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি মনেরও যত্ন প্রয়োজন এই সময়। সেক্ষেত্রে মন ভাল রাখতে কাছেপিঠে কোথাও থেকে ঘুরে আসতে পারলে মন্দ হয় না। তবে এই সময় যেহেতু নিজের সঙ্গে আরও একটি প্রাণের স্পন্দন থাকে, ফলে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার ১৩ সপ্তাহ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে বেবিমুনের পরিকল্পনা করা ভাল। এই সময় শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে, খুব একটা হেরফের হয় না। তাছাড়া বিমানে চেপে কোথাও যেতে চাইলে জেনে রাখা ভাল, যে কোনও বিমান সংস্থাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ৩২ মাস হয়ে যাওয়ার পর বিমানে সফর করতে দেয় না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কতদিনের জন্যে বেড়াতে যাওয়া নিরাপদ?
এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে যিনি অন্তঃসত্ত্বা তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ একান্তভাবেই জরুরি। তবে ঘুরতে গিয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয় এমন জায়গা নির্বাচন না করাই ভাল। সবুজ গাছপালা ঘেরা নিরিবিলি রিসর্টে কয়েক দিনের জন্যে শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম নিতে ও অবসর যাপন যেতেই পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy