খোলা জুতো পরলে ততটা কষ্ট হয় না। কিন্তু স্নিকার্স বা আঙুল-চাপা জুতো পরলে বুড়ো আঙুলে প্রচণ্ড যন্ত্রণা করে। কারও কারও আবার বুড়ো আঙুলের হাড় বেঁকে যায়, আঙুলের তলার দিকে হাড় ফুলে লাল হয়ে ওঠে।
দেখে টিউমার মনে হলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি আসলে তা নয়। অনেক সময়ে পায়ের পাতা এবং আঙুলের অস্থিসন্ধির হাড় হঠাৎ বাড়তে শুরু করে। ফুলে লাল হয়ে যায়। তখন হাঁটতে-চলতে কষ্ট হয়। এমনকি আঙুল-চাপা জুতো পরতেও সমস্যা হতে পারে। উপর থেকে দেখে অনেকেই একে ইউরিক অ্যাসিড বলে ভুল করেন। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটি ‘বানিয়ান্স’ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন:
কী কী কারণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে?
· দীর্ঘ ক্ষণ পয়েন্টেড বা পেনসিল হিল জুতো পরে থাকলে পায়ের পাতা এবং আঙুলের অস্থিসন্ধিতে চাপ পড়ে। ফলে ওই অংশটি ফুলে ওঠে, লাল হয়ে যায়। প্রদাহজনিত ব্যথা-বেদনা বাড়তে পারে।
· যাঁদের ‘ফ্ল্যাট ফুট’-এর সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও ‘বানিয়ান্স’-এর সম্মুখীন হতে পারেন।
· এক এক জনের পায়ের মাপ, আকার এক এক রকম। সেই অনুযায়ী জুতো না কিনলে পায়ের আঙুলে এমন সমস্যা হতে পারে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?
কয়েক দিন ঈষদুষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে রাখলে যদি ব্যথা কমে যায়, তা হলে তো মিটেই গেল। কিন্তু এই ব্যথার প্রকোপে যদি সাধারণ কাজকর্ম ব্যাহত হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হাড় সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসক আশিস আচার্য বলেন, “প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সামান্য কিছু ওষুধ এবং নির্দিষ্ট ব্যায়ামেই সমস্যা অনেকটা সারিয়ে ফেলা যায়। তবে পরিস্থিতি জটিল হলে ফিজিয়োথেরাপির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।”
আরও পড়ুন:
তবে জুতো কেনার সময়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে। এমন জুতো পরবেন, যেন পায়ের পাতায় কোনও ভাবে চাপ না পড়ে। জুতোর কায়দা সহ্য করতে গিয়ে অনেকেই মুড়ে থাকা পায়ের আঙুলের দিকে নজর দেন না। সে ক্ষেত্রেও সমস্যা বাড়তে পারে।