সানস্ক্রিন মেখেই রৌদ্রস্নান করতে গিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও অনাহুতের মতো শরীরের অনাবৃত অংশে নিজের ছাপ রেখে গিয়েছে সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি। ফলে হাতকাটা পোশাক পরতে অস্বস্তি হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, দিনের পর দিন এই ভাবে রোদ লাগলে তো সানবার্ন হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ত্বকের ক্যানসারের জন্যও দায়ী রোদ।
সে না হয় হল। কিন্তু ত্বক যখন রোদে পুড়েই গিয়েছে, তখন কী ভাবে কী হল তা আর ভেবে লাভ নেই। বরং সেই পোড়া দাগ তোলার জন্য কী করতে হবে, সে বিষয়ে ভাবা প্রয়োজন। ঝামা দিয়ে ঘষে ত্বক থেকে ময়লা তোলা যায়, কিন্তু ‘ট্যান’ তুলতে তো ব্লিচের উপর ভরসা করা যায় না। তা হলে কী করবেন? রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, হেঁশেলে টম্যাটো, শসা আর আলু থাকলেই কাজ হবে।
আরও পড়ুন:
হেঁশেলে থাকা তিন সব্জি দিয়ে রোদে পোড়া দাগ তুলবেন কী ভাবে?
১) আলু:
আর কিছু থাকুক না থাকুক, হেঁশেলের ঝুড়িতে আলু থাকবেই। আলুর অনেক দোষ থাকতে পারে, তবে গুণও কম নেই। চোখের তলায় কালচে দাগ তোলার জন্য আলুর রস মাখেন অনেকে। একই ভাবে রোদে পোড়া কালচে ছোপ তুলতেও সাহায্য করে এই সব্জিটি। রোদে পোড়া অংশে আলুর রস মেখে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তার পর ধুয়ে নিন। কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করেই দেখুন না। আলুর গুণগান আপনিও গাইবেন।
২) শসা:
রোদ থেকে ফিরে মুখ, চোখ জ্বালা করলে অনেক সময়ে কেটে রাখা শসা ঘষেছেন। তাতে ত্বক ঠান্ডা, শীতল হয়। জ্বালা, পোড়া ভাব কমে। প্রদাহজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে শসা। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, শসা রোদে পোড়া ত্বকেরও যত্ন নেয়। সানবার্ন তুলে ফেলতে সাহায্য করে। স্যালাডের প্লেট থেকে কয়েক টুকরো শসা তুলে মুখে ঘষে নিন। মিনিট পনেরো অপেক্ষা করুন। তার পর ধুয়ে নিন। কয়েক দিন এই টোটকা করে দেখুন, পোড়া দাগ উঠে যাবে।
আরও পড়ুন:
৩) টম্যাটো:
টম্যাটো দিয়ে চাটনি বানাচ্ছেন যখন, কয়েক টুকরো সরিয়ে রেখে দিতে পারেন। হেঁশেলের কাজ খতম হলে ওই টম্যাটো চটকে মেখে নিন মুখে। মিনিট ২০ অপেক্ষা করুন। শুধু শুধু বসে অপেক্ষাই বা করবেন কেন? টম্যাটোর সঙ্গে চিনি গুঁড়ো মিশিয়ে হালকা করে মুখে ঘষে নিন। আলাদা করে আর এক্সফোলিয়েট করার প্রয়োজন পড়বে না। ব্যস, জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তার পর দেখুন কাজ হয় কি না।