ডাবের জলে শীতেও যত্ন নেয় শরীরের। ছবি: সংগৃহীত।
লিভারের খেয়াল রাখতে ডাবের জলের জুড়ি মেলা ভার। সেই জন্য অনেকেই এই পানীয়কে লিভার টনিকও বলে থাকেন। তবে শুধু লিভার নয়, ডাবের জল সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। গরমে সুস্থ থাকার অন্যতম দাওয়াই হলেও, শীতে রোগবালাই থেকে দূরে থাকতেও এই পানীয়ের বিকল্প নেই। বিশেষ করে পেটের জন্য ডাবের জল খুবই উপকারী। ডাবের জলে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, মিনারেলস, ফাইবারের মতো উপাদান। শীতের মরসুমে ফিট থাকতে ডাবের জলের ভূমিকা সত্যিই অনবদ্য। গরমে ডাবের জলের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া হলেও শীতে সেই জনপ্রিয়তাও খানিক ভাটা পড়ে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, শীতে সুস্থ থাকতেও ডাবের জলে চুমুক দিতে পারেন। কিন্তু কেন?
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
শীতকালে রোগবালাইয়ের হানা বেশি। তার জন্য রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি চাই। ডাবের জল প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। মরসুমি কোনও রোগ সহজে বাসা বাঁধতে পারে না শরীরে। খুব ভাল হয়, যদি শীতে খালিপেটে রোজ এক গ্লাস করে ডাবের জল খেতে পারেন। ডাবের জলে রয়েছে রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, থিয়ামিনের মতো উপাদান। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ডাবের জলে ভরসা রাখা যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
শীতে শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করে না একেবারেই। তার উপর উৎসবের এমন মরসুমে খাওয়াদাওয়া তো আছেই। ফলে ওজন তো কমেই না, উল্টে বাড়তে থাকা ওজন বশে রাখতে ডাবের জল হাতিয়ার হতে পারে। ডাবের জলে থাকা এনজাইম হজমশক্তি উন্নত করে। হজম ঠিকঠাক হলে মেদ ঝরানো সহজ হয়ে যায়।
হাড় মজবুত রাখে
শীতে হাড়ের নানা সমস্যা লেগেই থাকে। গাঁটে গাঁটে ব্যথা, পেশিতে যন্ত্রণা, হাঁটুতে ব্যথা— গোটা শীতকাল জুড়ে সঙ্গী হয় এগুলিই। ডাবের জলে থাকা ক্যালশিয়াম হাড় শক্তিশালী করে তোলে। হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। ডাবের জলে রয়েছে ম্যাগনেশিয়ামও। হাড় এবং পেশির খেয়াল রাখতেও এই দুই উপাদানের জুড়ি মেলা ভার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy