অতিরিক্ত সয়া সস শরীরে একাধিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে ছবি: সংগৃহীত
দেশ বিদেশের নানা রান্নায় ব্যবহৃত হয় সয়া সস। কারও কারও মতে সয়াবিন ও গমের তাড়ন প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া এই সসের জন্ম চীনে, প্রায় তিন হাজার বছর আগে। জাপান, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশেও বেশ জনপ্রিয় এই সস। সাম্প্রতিক কালে এ দেশেও ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সয়া সস। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন অতিরিক্ত সয়া সস শরীরে একাধিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
১। অতিরিক্ত সোডিয়াম: সয়া সসে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। সোডিয়াম শরীরের একাধিক কাজে লাগলেও অতিরিক্ত সোডিয়াম ডেকে আনতে পারে বিপদ। বিশেষত, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত সোডিয়াম অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
২। এমএসজি: এমএসজি বা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট এমন এক উপাদান, যা উমামি স্বাদ বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি গ্লুটামিক অ্যাসিড থেকে তৈরি হয়। অনেকের মতে, এই উপাদানটি মাথা যন্ত্রণা, দুর্বলতা, বুক ধড়ফর করা কিংবা অবশ লাগার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৩। ক্যানসারের আশঙ্কা: সয়া সস তৈরির সময় ক্লোরোপ্রপানল নামক একটি উপাদান তৈরি হয়, যা ক্যানসারের আশঙ্কা বৃদ্ধি করে। বিশেষত, এমসিপিডি নামক এক প্রকারের ক্লোরোপ্রপানল দেহে একাধিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এই উপাদানটি কিডনির ক্ষতি করে, টিউমার তৈরির আশঙ্কা বাড়ায়। ডেকে আনতে পারে বন্ধ্যত্বও।
৪। অ্যামিন জাতীয় উপাদান: সয়া সসে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিন জাতীয় উপাদান থাকে। বিশেষত হিস্টামিন ও টাইরামিন জাতীয় অ্যামিন একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই উপাদানগুলি মাথা যন্ত্রণা, ঘাম, মাথা ঘোরানো, রক্তচাপের সমস্যা ডেকে আনে।
৫। গ্লুটেন: অনেকেই জানেন না যে সয়া সসে গ্লুটেন থাকে। গ্লুটেন এমন একটি প্রোটিন যা বহু মানুষের দেহে অ্যালার্জি তৈরি করে। তবে জাপানি সয়া সসে গ্লুটেন থাকে না। ফলে যাঁরা গ্লুটেন মুক্ত খাবার খেতে চান তাঁরা এই বিশেষ সোয়া সস ব্যবহার করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy