নিয়মিত কনট্যাক্ট লেন্স পরেন? কিন্তু লেন্স মানেই যে হাজার বিধিনিষেধ। তার উপর চোখে লেন্স মানেই সর্ব ক্ষণ সঙ্গে রাখতে হবে নানাবিধ সরঞ্জাম। কিন্তু বাইরে বেরোনোর সময় কখনও-সখনও সে সব সরঞ্জাম ব্যাগে রাখতে ভুলে যান কেউ কেউ। আবার বাড়িতে থাকলেও বার বার খোলা-পরা করার ঝক্কি কম নয়। তাই মাঝেমধ্যে লেন্স পরেই নিত্যনৈমিত্তিক কাজ করতে থাকেন তাঁরা। স্নান করা, চোখ-মুখ ধোয়া, সাঁতার কাটা, বৃষ্টিতে ভেজা— জলের সংস্পর্শে আসতেই হয় সে সব ক্ষেত্রে। আর সেখানেই হয়ে যায় ভুল।
আরও পড়ুন:
লেন্স পরে যদি আপনি জলের সংস্পর্শে আসেন, তা হলে কী হবে?
স্নানের সময় কনট্যাক্ট লেন্স পরা মোটেও নিরাপদ নয়। স্নানের জলে একাধিক পরজীবী থাকতে পারে, যার মধ্যে একটি হল অ্যাকান্থামোয়েবা, যা জলে সিস্ট আকারে বেঁচে থাকে এবং কর্নিয়ার আলসারেশন বা অ্যাকান্থামোয়েবা কেরাটাইটিস হতে পারে। এই রোগে কর্নিয়া ফুলে যায়। এবং দ্রুত চিকিৎসা না করালে, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে পারে। মাইক্রোবায়াল কেরাটাইটিস এক ধরনের কেরাটাইটিস, যেখানে জীবাণু কর্নিয়ায় প্রবেশ করে এবং চোখের সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের কারণ হতে পারে এমন জীবাণু, যা বিভিন্ন জলের উৎসে পাওয়া যায়— কলের জলে, শাওয়ারের জলে, হ্রদের জলে ইত্যাদি। সেগুলিই চোখে লেগে যেতে পারে। এর ফলে কর্নিয়ায় আঁচড় পড়তে পারে। এই আঁচড়গুলি কখনও কখনও কেরাটাইটিস রোগের সৃষ্টি করে। জলের জীবাণুমুক্তি না হলে তাতে উপস্থিত জীবাণুগুলি কর্নিয়ায় প্রবেশ করে এবং তা থেকে সংক্রমণ হতে পারে।

স্নান করা, চোখ-মুখ ধোয়া, সাঁতার কাটা, বৃষ্টিতে ভেজা— জলের সংস্পর্শে এলেই ঝুঁকি। ছবি: সংগৃহীত।
কোন ধরনের জীবাণু মাইক্রোবায়াল কেরাটাইটিস সৃষ্টি করে?
বিভিন্ন ধরনের জীবাণু মাইক্রোবায়াল কেরাটাইটিসের কারণ হতে পারে। জলের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সচেতন থাকা উচিত, কারণ কেরাটাইটিস হল এক প্রকার পরজীবী, যা অ্যাকান্থামোইবা দ্বারা সৃষ্ট। অ্যাকান্থামোইবা হল এক ধরনের অ্যামিবা, যা বিভিন্ন জলের উৎসে পাওয়া যায়।
আর তাই কন্ট্যাক্ট লেন্সের ভুল ব্যবহার, কলের জলে লেন্স ধোয়া, লেন্স পরে স্নান করা, সাঁতার কাটা অথবা চোখ ধোয়া ইত্যাদি করলে ঝুঁকি বাড়বে।