চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেলেও বিপদ? ছবি: শাটারস্টক
বিস্কুট খেতে একেবারেই পছন্দ করেন না দোয়েল। খিদের মুখে কেউ যদি তাকে বিস্কুট খেতে বলেন, মাথায় আগুন জ্বলে ওঠে। সকালে চায়ের সঙ্গে একমাত্র বিস্কুট থাকলে বেশ খুশি হন তিনি। গরম চায়ে ডোবানো তুলতুলে বিস্কুট মুখে গেলে সকালটাই ভাল হয়ে যায় তাঁর। দোয়েলের মতো আরও অনেকেই চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, চা-বিস্কুটের জুড়ি মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
বিস্কুট তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। আর ময়দা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভাল নয়। বিশেষ করে খালি পেটে ময়দার তৈরি বিস্কুট খেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সাতসকালে খালি পেটে বিস্কুট না খাওয়াই শ্রেয়। তা ছাড়া বিস্কুট দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করে রাখা হয়। প্যাকেটজাত হয়ে থাকে বহু দিন। বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও অনেক সময় বিস্কুটের গুণমান খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিস্কুট কেনার সময় দেখে নিন তাতে ফাইবার আছে কি না। ছবি: শাটারস্টক
ওজন কমাতে চাইলে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কারণ বিস্কুটে চিনির পরিমাণ বেশ অনেকখানি। নুনও একেবারে কম নেই। চিনি এবং নুন যে ওজন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট, তা বলে না দিলেও চলে। চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাসে ঝুঁকি থেকে যায় গ্যাস-অম্বলের। এমনকি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো ক্রনিক সমস্যাকেও বিপদসীমার মুখে দাঁড় করায়।
তাই বলে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার আমেজ নেবেন না, তা তো হতে পারে না। বিস্কুট কেনার সময় দেখে নিন তাতে ফাইবার আছে কি না। ফাইবার সমৃদ্ধ বিস্কুট খেলে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বিস্কুট ছাড়াও চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন মাখানা, কাঠবাদাম। উপকার পাবেন। তবে একান্তই চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেতে হলে পরিমাণে রাশ টানতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy