জামাইষষ্ঠীর জামাই আপ্যায়নে আম, জাম, কাঁঠালের মতো ফলের কদরই থাকে বেশি। ইদানীং স্বাস্থ্য সচেতন জামাইদের জন্য কোনও কোনও শ্বশুরমশাইয়েরা কিউয়ি, অ্যাভোকাডোও হয়তো কিনে আনেন। তবে সেই তালিকায় থাকে না ফলসা। শুধু জামাইষষ্ঠী কেন, কোনও পালা-পার্বণেই এই ফলের কদর নেই। এই নামের সঙ্গে এই প্রজন্মের অনেকেই হয়তো পরিচিত নন। কিন্তু তার পরেও এই ফল কেন পাতে রাখবেন জানেন? ছোট ছোট গোল গোল এই ফল অত্যন্ত সুস্বাদু। টক-মিষ্টি খেতে। ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। গরমের এই ফল সব সময়েই যে চট করে মেলে, তা কিন্তু নয়। কেউ কেউ আবার আঁশফলের সঙ্গে ফলসাকে গুলিয়েও ফেলেন। তবে দেখতে, খেতে দু’টি পৃথক।
ফলসার গুণাগুণ
ভিটামিন এ, সি, আয়রন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ফলটি খেতে পারেন ডায়াবেটিকেরাও। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে ইলক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিপাকক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করে।
শরীর ঠান্ডা রাখে: পুষ্টিগুণে ভরপুর ফলসা খুব ছোট হয়। রস থাকে। তবে একসঙ্গে অনেকগুলি ফল খেলে শরীরে জলাভাব দূর হতে পারে। গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে ফলটি।
আরও পড়ুন:
প্রদাহ কমায়: ফলসায় রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে কোষকে রক্ষা করে। এতে থাকে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। তারুণ্য ধরে রাখার জন্যও এটি উপযোগী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: ফলসায় রয়েছে ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকর। সর্দি-জ্বরের ধাত যাঁদের, ভিটামিন সি যুক্ত ফল তাঁদের জন্য খুব জরুরি।
হার্ট ভাল রাখে: ফলসায় রয়েছে পটাশিয়াম। শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই খনিজ। এই খনিজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। অ্যাথিরোস্কেরোসিসের মতো হার্টের অসুখ দূরে রাখতেও এই ফলে থাকা উপাদান সহায়ক।
ডায়াবেটিকদের জন্যও ভাল: ফলসার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি নয়। ফলে এই ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা বেড়ে যায় না। তা ছাড়া এই ফলে থাকা ফাইবারও পেট পরিষ্কারে সাহায্য করে। হজম ভাল হওয়ার জন্য ফাইবার প্রয়োজনীয়।