হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমবে কোন আসনে? ছবি: সংগৃহীত।
যে কোনও বয়সে হৃদ্রোগ হানা দিতে পারে। তাই সচেতন থাকা জরুরি। হৃদ্রোগ ঠেকাতে জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস থাকলে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। কিন্তু এই বিষয়গুলি নিয়ে এতটাই অসচেতনতা দেখা যায় যে, একটা বয়সের পর অনেকেই হৃদ্রোগজনিত কোনও না কোনও সমস্যায় ভোগেন। পরিবর্তিত জীবনযাত্রা, অত্যধিক ব্যস্ততা, মানসিক চাপ এগুলিও কিন্তু হৃদ্রোগের কারণ হতে পারে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়াতে রোজের জীবনে বদল তো আনতেই হবে। সেই সঙ্গে কয়েকটি শরীরচর্চাও করতে হবে নিয়ম করে। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে কোন ব্যায়ামগুলি না করলেই নয়?
ভুজঙ্গাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে যান।
পদহস্তাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। তার পর ধীরে ধীরে পা দু’টি সামান্য ফাঁক করুন। ভাল করে শ্বাস নিতে নিতে হাত দু’টি উপরের দিকে তুলুন। এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। হাতের সাহায্যে গোড়ালি স্পর্শ করুন। খেয়াল রাখবেন হাঁটু যেন না ভাঙে। ২০-৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
ধনুরাসন
পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দু’টি পিছনে নিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করে পা দু’টি মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসুন। পেট মেঝে স্পর্শ করিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy