রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে তুলসীর জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত
ধীরে ধীরে হলেও শীত আসছে। যেহেতু সে ভাবে জাঁকিয়ে ঠান্ডা এখনও পড়েনি, তাই অনেকেই শীতপোশাক পরার ক্ষেত্রে খানিক অসাবধান হয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে স্নানের সময়ে ঠান্ডা জলই ব্যবহার করে ফেলছেন। ব্যস! দু’দিন যেতে না যেতেই নাক দিয়ে জল গড়াচ্ছে, চোখ জ্বালা করে ছলছল করছে কিংবা কাশি বসে যাচ্ছে। অনেকের আবার খানিক গা গরমও হচ্ছে। সর্দি-জ্বর না কি ওমিক্রন সেটা বুঝতে আবার আর এক ঝোক্কি। আরটি-পিসিআর করাতে হচ্ছে। এই সব ঝামেলা থেকে বাঁচতে একটাই রাস্তা। শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়ানো। বাড়িতে তুলসীগাছ থাকলেই সেই সমাধানও অনেকটা হয়ে যাবে।
তুলসীর ঔষুধী গুণ নিয়ে ভারতীয়রা বহু যুগ আগে থেকেই জানেন। বাচ্চাদের সর্দি-কাশি সারাতে রোজ মধু দিয়ে তুলসী পাতা বাটা খাওয়ার চল রয়েছে অনেক বাঙালি বাড়িতেই। তবে তুলসী খেতে পারেন আরও অনেক ভাবে। সেগুলি স্বাদেও খুব একটা খারাপ নয়।
১। তুলসী-চা: বেশ কয়েকটি তুলসীপাতা জলে ফুটিয়ে তাতে লেবু রস এবং মধু মিশিয়ে নিন। সেই জল ছেঁকে চায়ের মতো খান।
২। তুলসী হলুদ-চা: তুলসীর সঙ্গে হলুদ যোগ করলে আর কোনও কথাই নেই। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল গুণ। শরীরের সব রকম প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে হলুদ। ফলে এই চা খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবেই।
৩। শসা-তুলসীর জল: যদি মনে করেন গরম চা খাবেন না, তা হলে সকালে উঠে একটি বোতলে লেবু, তুলসী এবং শসা দিয়ে ডিটক্স ওয়াটর বানিয়ে নিন। সেই জল সারা দিন ধরে একটু একটু করে খান।
৪। তুলসী-মশলা: জিরে, লবঙ্গ, এলাচ, হলুদ, দারচিনি এবং গোলমরিচ দিয়ে জল ফুটিয়ে নিন। সঙ্গে সামান্য মধু এবং তালমিচরি দিতে পারে। সেই জলে তুলসীপাতাও ফুটিয়ে নিন। ফুটে এলে ছেঁকে নিয়ে একটি ফ্লাস্কে রেখে দিন। এই মশলা-তুলসীর চা খেতে পারেন দিনে বেশ কয়েক বার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy