Advertisement
E-Paper

বাস্তু এবং জ্যোতিষ

বাস্তু এবং জ্যোতিষের পরস্পর ঘনিষ্ট সম্পর্ক। যদি এ-দুটিকে পৃথক ভাবে দেখা যায়, তবে জীবন সঙ্গ হীণ অর্থাৎ মেলা মেশায় শুন্যতা বা জ্ঞান শুন্যতার কেন্দ্র হয়ে যায়। অতএব বাস্তুর অধ্যয়ন, মনন এবং নিয়ম পালনের জন্য জ্যোতিষ বিদ্যার মহত্ত্বকে বুঝে নিতে হবে।

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:০১

বাস্তু এবং জ্যোতিষের পরস্পর ঘনিষ্ট সম্পর্ক। যদি এ-দুটিকে পৃথক ভাবে দেখা যায়, তবে জীবন সঙ্গ হীণ অর্থাৎ মেলা মেশায় শূন্যতা বা জ্ঞান শূন্যতার কেন্দ্র হয়ে যায়। অতএব বাস্তুর অধ্যয়ন, মনন এবং নিয়ম পালনের জন্য জ্যোতিষ বিদ্যার মহত্ত্বকে বুঝে নিতে হবে।

বাস্তুর বা ভবন নির্মাণের কিছু শর্ত আছে।
প্রথম শর্ত — ভূমির কারক গ্রহ মঙ্গল। এই কারণেই মঙ্গল গ্রহের আর এক নাম ভৌম। ভৌমাচার অর্থাৎ মঙ্গল গ্রহের সঞ্চার। রাশি চক্রের চতুর্থ ভাব—‘ভূমি’ এবং ‘ভবন’- এর সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। উত্তম ভবন প্রাপ্তির ‘যোগ’- এর জন্য রাশিচক্রে কেন্দ্র স্থান, ত্রিকোণ স্থান এবং চতুর্থপতি অর্থাৎ চতুর্থস্থানের অধিপতি স্থীতি বলবান হওয়া আবশ্যক।
দ্বিতীয় শর্ত — চতুর্থ স্থানের অধিপতি উচ্চ স্থানে অবস্থান, মূল ত্রিকোণ, স্বগৃহী, মিত্রগৃহী, শুভগ্রহ যুক্ত হয়ে অবস্থান। উচ্চাভিলাষী এবং শুভ গ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হলে অবশ্যই ভবন সুখ প্রাপ্তি যোগ হবে।
তৃতীয় শর্ত — রাশি চক্রে ভূমি কারক গ্রহ মঙ্গলের স্থিতি সুদৃঢ় অর্থাৎ শুভ স্থান হতে হবে।
চতুর্থ শর্ত — আর একটি বিষয় মনে রাখতে হবে। ভবনসুখ প্রাপ্তির জন্য রাশি চক্রের চতুর্থ ভাব এবং মঙ্গল গ্রহের স্থিতির শুভা-শুভটুকুই শুধু বিচার করে দেখলে চলবে না। ভবন সুখ পূর্ণ প্রাপ্তির জন্য লগ্ন, লগ্নেশ অর্থাৎ লগ্নস্থানের অধিপতি বলবান হওয়া দরকার। অন্যথা আপনার পরিশ্রম করা অর্থে এবং আপনার পরিশ্রমে নির্মিত ভবন অপরের হাতে চলে যেতে পারে।
** ভবন নির্মান করার পুর্বে এই বিচার গুলি করে নেওয়া বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।

Astrology Bastu and Astrology
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy