আমাদের সূক্ষ্মদেহে যে আজ্ঞাচক্র আছে, তার অনেক নাম। কেউ আজ্ঞা চক্রকে গুরু চক্র বলে থাকেন, কেউ আবার বলেন তৃতীয় নয়ন। আজ্ঞাচক্র অবস্থান করে দুই ভ্রূর মাঝখানে। এটি দ্বিদল পদ্মবিশিষ্ট ও ঘন নীল। আজ্ঞাচক্র যে সব অঙ্গগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে তার মধ্যে চোখ, কান, পিটুইটারি গ্ল্যান্ড, ব্রেন, সমস্ত স্নায়ুতন্ত্র। আমাদের বুদ্ধি, কল্পনা শক্তি, ভাবনা ও চিন্তাশক্তি ও আত্মসচেতনাকে মূলত নিয়ন্ত্রণ করে আজ্ঞা চক্র। এই চক্রকে তৃতীয় নয়ন বলা হয় কারণ এই চোখ দিয়ে উচ্চতর চেতনার স্তরগুলিকে দেখা যায়। আমাদের আজ্ঞা চক্র যদি সঠিক ভাবে কাজ না করে, তা হলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি হতে পারে।
(১) আজ্ঞা চক্র থেকে যে শক্তি পাই তা হচ্ছে বোধি বা ইনটিউশন। যার আজ্ঞা চক্র ব্লক থাকে, সে বোধি বা ইনটিউশন সংক্রান্ত সব কিছুকে পরিহার করে চলবে। এরা কখনও সৃজনশীলতাকে অনুভব করে না।
(২) হয় এরা খুব বেশি মাত্রায় যুক্তিবাদী হয়, বা খুব বেশি মাত্রায় আবেগপ্রবণ হয়।
(৩) এদের মধ্যে ভাবনা চিন্তাগুলি সে ভাবে সক্রিয় হয়ে কাজ করবে না। বিশেষ করে ভবিষ্যৎ ভাবনা বা পরিকল্পনাগুলি।
(৪) এরা অভ্যাসগত ভাবে বাস্তব জীবন সংগ্রামকে পাশে ফেলে রেখে দিবাস্বপ্নের শিকার হয়ে পড়ে।
(৫) অনেক সময় এরা গুপ্তশক্তি লাভের জন্য নানা ধরনের তান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপ বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের শরণাপন্ন হয়। বেশির ভাগ সময় এরা জীবনের দিশা হারিয়ে ফেলে।
আরও পড়ুন: রোহিণী নক্ষত্রের জাতকের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, পেশা এবং পারিবারিক জীবন কেমন হয়
(৬) অত্যধিক মাত্রায় জাগতিক জীবনের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পরিবার, যৌন জীবন, অর্থ, স্ট্যাটাসনির্ভর জীবনে আসক্ত হয়ে পড়ে।
(৭) এরা উচ্চতর নৈতিক বা আত্মিক জীবনের প্রতি কোনও আগ্রহ অনুভব করে না।
(৮) আজ্ঞ চক্র ব্লক থাকলে আমরা যে সম্পর্কগুলি গড়ে তুলি, তা হবে উপর উপরে, ভাসাভাসা। সম্পর্কগুলির মধ্যে অন্তরের কোনও যোগ থাকবে না। অন্যের প্রতি যে বিশ্বাস থাকা দরকার, তা কাজ করে না।
(৯) আজ্ঞা চক্র ব্লক থাকলে জাতক গোঁড়া হয়ে ওঠে। এরা হয়ে ওঠে একগুঁয়ে স্বভাবের।
(১০) মাইগ্রেন, ক্রমাগত মাথাধরা, সাইনাসের সমস্যা হয়। নানা রকম চোখের সমস্যাতেও ভুগতে হয়।
(১১) নানা ধরনেরইলিউশানের শিকার হতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy