হাতের রেখা বিচারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিররেখা। বুদ্ধিমত্তা, মানসিক শক্তি, মানসিকতা, চিন্তাশক্তি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বিচার করা হয় শিররেখা থেকে। দীর্ঘ শিররেখা বিশিষ্ট জাতক নিজ চিন্তা, বিবেচনা, বুদ্ধিমত্তা দ্বারা প্রভাবিত হন এবং তার সঠিক প্রয়োগ করেন। শিররেখা ছোট হলে ঠিক বিপরীত অর্থাৎ নিজ চিন্তা, বুদ্ধিমত্তার দ্বারা প্রভাবিত কম হয়, এবং জাতকের ওপর অন্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
সাধারণত বৃহস্পতির ক্ষেত্রের নীচ থেকে এই রেখা উৎপন্ন হয়। বৃহস্পতির ক্ষেত্র থেকে উৎপন্ন দীর্ঘ দোষ মুক্ত শিররেখার অর্থ, জাতক সঠিক চিন্তাভাবনা, নিজের বুদ্ধির দ্বারা সঠিক বিবেচনা করার এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
সরলরেখার মতো সোজা শিররেখা বিশিষ্ট জাতক, বাস্তববাদী মানসিকতার। কল্পনার জগতে কম বিচরণ করেন। পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঠিক অনুভব করার এবং বিবেচনার ক্ষমতা বিশিষ্ট হন।
আরও পড়ুন: আয়ুরেখা দীর্ঘ হলেই কি দীর্ঘজীবী হয়? জেনে নিন
শিররেখা বেঁকে চন্দ্রের ক্ষেত্রগামী হওয়ার অর্থ জাতক কল্পনাপ্রবণ। যত বেশি চন্দ্রের ক্ষেত্রগামী, তত বেশি কল্পনাপ্রবণ। এই ধরনের জাতকের দীর্ঘ দিন কল্পনা বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে হতাশা বা বিষণ্ণতা পর্যন্ত আসতে পারে।
শিররেখার শেষ প্রান্ত দ্বিধাভক্ত হওয়ার অর্থ একাধিক বিষয়ে জ্ঞান সম্পন্ন। শিররেখার শেষ প্রান্ত ত্রিবিভক্ত হওয়ার অর্থ একটি চন্দ্রগামী, একটি সম্মুখগামী এবং একটি রেখা বুধের ক্ষেত্রগামী। অর্থাৎ জাতক কখনও কল্পনাপ্রবণ কখন বাস্তববাদী। দোষ মুক্ত সুগঠিত শিররেখার অর্থ স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন এবং স্বনিয়ন্ত্রিত ব্যক্তি।
প্রশস্থ অগভীর শিররেখার অর্থ মানসিক নিষ্ক্রিয়তা। এই জাতক জীবন এবং কাজ সম্বন্ধে ধারণাহীন ভাবে জীবন অতিবাহিত করেন। পাতলা, সরু শিররেখা মানসিক চাপ প্রতিরোধের ক্ষমতাহীন। আঁকাবাঁকা শিররেখা সঙ্কীর্ণ মানসিকতার ইঙ্গিত দেয়। শিররেখার শেষ প্রান্তে কাটা চিহ্ন অশুভ ইঙ্গিত। এর থেকে মাথার সমস্যা থাকা বোঝায়। অবশ্য অন্য লক্ষণের ওপরও এই বিষয় নির্ভর করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy