গুপ্ত শত্রু অর্থাৎ যে শত্রু গোপন ভাবে আমাদের ক্ষতি করে।
গুপ্ত শত্রু অর্থাৎ যে শত্রু গোপন ভাবে আমাদের ক্ষতি করে। আমাদের অজান্তে কৌশলে আমাদের বিপদের দিকে ঠেলে দেয়। কখনও কখনও নিজের আত্মীয় শত্রুতা করতে পারে, যেমন ভাই, বোন গুপ্ত শত্রু হতে পারে। প্রিয় বন্ধু কখনও শত্রুতা করতে পারে, প্রতিবেশী, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী, স্বামী স্ত্রী, এমনকি গুরু শিষ্য পর্যন্ত গুপ্ত ভাবে একে অপরের ক্ষতি সাধন করতে চায়। ভাল মানুষের মুখোশের আড়ালে সবাই শত্রুতা চালিয়ে যায় কোনও না কোনও উপায়ে। কিভাবে চেনা যাবে এই ধরনের শত্রুদের ? দেখা যাক এই বিষয়ে জ্যোতিষ শাস্ত্র কি কথা বলছে।
গ্রহের বিচার - প্রথমেই জেনে রাখা দরকার গুপ্ত শত্রু এক বা একাধিক হতে পারে। গুপ্ত শত্রুর বিচার করতে হলে আমাদের জন্ম রাশিচক্রের প্রতিটি রাশি ও ভাব বিচার জানা আবশ্যক। প্রথমে জানতে হবে গুপ্ত শত্রুর জন্য কোন কোন গ্রহ দায়ী। এই বিচার করতে গেলে সবার প্রথমে দ্বাদশ ভাবের ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। দ্বাদশ ভাব থেকে বিচার করা হয় জাতকের গুপ্ত শত্রু আছে কিনা। একটি গুরুত্বপুর্ন কথা জেনে রাখা দরকার, যে কোনও শুভ অশুভ বিচারের ক্ষেত্রে লগ্ন ভাব বিচার আবশ্যক। লগ্নই হল মানুষের মুল প্রকৃতি। লগ্ন, লগ্নভাব বা লগ্নপতি যদি সবল ও শুভ গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হয় কোনও গুপ্ত শত্রুই মানুষের ক্ষতি করতে পারে না। দ্বাদশ ভাব ও লগ্ন ভাব বিচারের পর ষষ্ঠভাব ও অষ্টমভাব বিচার করা প্রয়োজন। এবং এর সেই সঙ্গে তৃতীয় ও সপ্তমভাবের বিচারও করতে হয়।
আগেই বলেছিলাম নানা ক্ষেত্র থেকে গুপ্ত শত্রু তৈরি হতে পারে। আত্মীয়রা গুপ্ত শত্রু কিনা জানতে হলে দ্বিতীয়ভাবের দ্বাদশভাব অর্থাৎ দশম ভাব ও দশম পতিকে দেখতে হবে। বন্ধুর ক্ষেত্রে চতুর্থের দ্বাদশ ভাব অর্থাৎ তৃতীয়কে ও তৃতীয় পতিকে দেখতে হবে। গুপ্ত শত্রুতা বিচারের ক্ষেত্রে শনি ও কেতুর কিছু বিষয়ে ভুমিকা থাকে। এইভাবে সকল ক্ষেত্র বিচারের প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy