বৃদ্ধাঙ্গুলির বিচার জ্যোতিষশাস্ত্রে বা হস্তরেখার একটি বিশেষ অংশ। এই আঙুলটি কোনও নির্দিষ্ট গ্রহের নয়। বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখে ব্যক্তির নিখুঁত ভাবে বিচার করা যায়। কেবল হাত দেখাই নয়, পৃথিবীর নানা দিকে নানা কাজে বৃদ্ধাঙ্গুলির বিশেষ প্রয়োজন। আইনত কোন কাজে সবসময় বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নেওয়া হয় কারণ এটি হল মানুষকে চিনে নেওয়ার সুনির্দিষ্ট চিহ্ন।
আসুন, এ বার জেনে নেওয়া যাক আর কী ভাবে আপনি এবং আপনার সামনের মানুটিকে চিনে নেবেন:
১। মানুষের বুড়ো আঙুল যত সুন্দর, যত বেশি লম্বা এবং হাতের চেটোর সঙ্গে লম্ব ভাবে যুক্ত, সে তত বেশি সুন্দর মনের মানুষ। তার তত বেশি বুদ্ধির বিকাশ হয়ে থাকে।
২। যাদের বুড়ো আঙুল কদর্য, খর্ব, স্থূল, তার মানসিক গঠন অমার্জিত। খুব ছোট ও মোটা বৃদ্ধাঙ্গুলির মানুষের ইচ্ছাশক্তি পশুর ইচ্ছাশক্তির মতো হয়। কোনও বিচারবুদ্ধি কাজ করে না।
৩। বুড়ো আঙুল লম্বা হলে সে ব্যক্তি কৌশলে তার কার্যসিদ্ধি করে নেয়। এরা বুদ্ধির জোরে অন্যকে পরাস্ত করে।
আরও পড়ুন: অগ্রহায়ণ মাসে জন্ম হলে কোন বিশেষ গুণের অধিকারী হওয়া যায়
৪। যাদের বুড়ো আঙুল লম্বা, নমনীয় ও সুন্দর তারা খুব হাসিখুশি, সৎভাবযুক্ত ও মধুর স্বভাবের হয়। এরা বেশ সামাজিক হয়।
৫। মোটা গদার মতো বা থ্যাবড়া বুড়ো আঙুল নির্দেশ করে এদের শরীরে কর্কশ ও রূঢ় ভাব বেশি থাকবে। এমনকি অপরাধী, খুনী, ডাকাতও হতে পারে।
৬। যদি বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়া সরু, মাথাটা মোটা হয় তারা খুব চালাক-চতুর হয়। এদের সহজে কেউ ঠকাতে পারে না। এরা দায়িত্বশীল হয়। প্রথম জীবনে সফল না হলেও পরবর্তী জীবনে অবশ্যই সুখী হয়।
৭। অনমনীয় শক্ত বৃদ্ধাঙ্গুলযুক্ত ব্যক্তিরা চট করে কারও কথায় বিশ্বাস করে না। কারও যুক্তি মানতে চায় না। হঠাৎ করে কারও সঙ্গে আলাপ করতে চায় না। এরা বাস্তববাদী, স্বার্থপর, প্রশংসাপ্রিয় এবং চাপা আত্মকেন্দ্রিক হয়। এরা যে কোনও কাজ করতে একটু বেশি সময় নেয়। এরা নিজের আদর্শ নিয়ে চলতে ভালবাসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy