Advertisement
২১ মে ২০২৪

রোহিণী নক্ষত্রের জাতকরা জাতিকারা কেমন হয় জেনে নিন

রোহিণী নক্ষত্রের জাতকরা রোগা পাতলা চেহারার হয়। রোহিণী নক্ষত্রের জাতক-জাতিকাদের ক্রোধ খুব বেশি। একবার রেগে গেলে এদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন।

শ্রীমতী অপালা
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:০০
Share: Save:

রাশিচক্রের মধ্যে চতুর্থ নক্ষত্র হল রোহিণী। রোহিণী অর্থাৎ একটি গাভী। রাশিচক্রের দ্বিতীয় অর্থাৎ বৃষ রাশির অন্তর্গত এই রোহিণী নক্ষত্র। এই নক্ষত্রের জাতক-জাতিকাদের চন্দ্রের দশায় জন্ম হয়।
দেহের গঠন
রোহিণী নক্ষত্রের জাতকরা রোগা পাতলা চেহারার হয়। শুভ্র বর্ণ, দীর্ঘকায়, চওড়া কপাল, চোখ সুন্দর ও চুল কালো হয়। চোখ দুটি খুবই আকর্ষক হয়। এদের কাঁধ হয় চওড়া ও বলিষ্ঠ। এরা সাধারণত খুব আকর্ষণীয় প্রকৃতির হয়।
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
রোহিণী নক্ষত্রের জাতক-জাতিকাদের ক্রোধ খুব বেশি। একবার রেগে গেলে এদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন। এরা প্রচণ্ড একগুঁয়ে ও জেদি হয়। এরা অন্যের পরামর্শকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না এবং অন্যের ভুল দেখানোর জন্য সবসময় সিদ্ধহস্ত থাকে। এরা কোনও কাজ সুস্থ ভাবে পরিচালনা করতে পারে না। এদের সঙ্গে চলতে গেলে এদের মতে চলতে হয়। কিন্তু যাকে এরা ভালবাসে তার জন্য সব কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে পারে। এরা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হঠাৎ গ্রহণ করে বলে জীবনে অনেক ওঠা-নামা থাকে। ভবিষ্যতের থেকে বর্তমানে বেশি বিশ্বাসী হয়।
কর্ম জীবন বা পেশা
এই নক্ষত্রের জাতকের ওপর যদি কোনও শুভ গ্রহের দৃষ্টি থাকে তাহলে এরা নিম্নতর কাজ থেকে উচ্চতর কাজে পৌঁছে যেতে পারে। এরা দুধ বা দুধের তৈরি কোন খাবারের ব্যবসা করলে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারে। শিল্প-কলা, সাহিত্য এবং কোনও বস্ত্রজাতীয় ব্যবসা করলে উন্নতি করতে পারে।
পারিবারিক জীবন
এদের পারিবারিক জীবনে বাবা-মায়ের ওপর টান বেশি থাকে। এরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজে দেখে বিয়ে করে। কিন্তু বিবাহিত জীবনে খুব একটা সুখী হতে পারে না।
রোগ
এদের রক্ত দোষ বা রক্ত সম্পর্কিত রোগ, মূত্র বিকার, মধুমেহ, যক্ষ্মা, গলার অসুখ এবং জীবনের শেষ বয়সে স্নায়ুবিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE