ভরণী নক্ষত্রের অধিপতি দেবতা হলেন যম। এই নক্ষত্র শুক্র গ্রহের অন্তর্গত। মেষ রাশিতে এই নক্ষত্রের অবস্থান।
এই নক্ষত্রের জাতকরা খুব পরিষ্কার মনের হয়, জেনে বুঝে কারোর ক্ষতি করতে চায় না। এদের গলা লম্বা, মাথা একটু বড় ও মধ্যম চেহারা বিশিষ্ট হয়। এদের দাঁতের গঠন খুব সুন্দর হয়। সাধারণত এদের দেখলে খুব অহংকারী বলে মনে হয়, কিন্তু আসলে এরা খুবই খোলা মনের হয়ে থাকে। ভরণী নক্ষত্রের জাতকদের মধ্যে চালাকি ভাব একটু কম থাকে। এরা অন্যের কোথায় চলতে পছন্দ করে না। কোনও কারনেই এরা মাথা নত করতে চায় না।
জ্ঞানের ক্ষেত্রেও সমস্ত বিষয়েই এদের উৎসাহ থাকে। যে কোনও বিষয়ে গভীরে পৌছনোর ক্ষমতা রাখে। অন্যকে আদেশ দিতে পারলে এরা খুব সন্তুষ্ট হয়। যে কোনও বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যায় এবং সফলতাও পায়।
ভরণী নক্ষত্রের জাতকদের সুখ এবং দুঃখ কোনটাই বেশি দিন থাকে না। ছোটবেলা থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত অনেক ওঠা নামা দেখতে হয় এদের। শিক্ষা গত যোগ্যতা মধ্যম।
২৫ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত জীবিকার জন্য লড়াই করতে হয়, কিন্তু একটু ভারী বয়সে এদের উন্নতির যোগ থাকে। প্রায় ৩৫ বছর বয়স থেকে জীবনে একটা বিশাল পরিবর্তন আসে। প্রশাসনিক কাজ, ব্যবসা রাজনীতি, মুদির দকান, অধ্যাপক, গান-বাজনা, ওকালতি, অভিনয়, হোটেল ব্যবসা, পর্যটন ব্যবসা ইত্যাদি এইসব পেশায় দারুন উন্নতি হয়।
এই জাতকের দাম্পত্য জীবন ভালই হয়, নম্র, ভদ্র এবং ঘরোয়া প্রকৃতির মেয়েকে স্ত্রী রূপে পায়। নিজের পরিবারকে এরা প্রচণ্ড ভালবাসে।
বৃদ্ধ বয়সে কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এদের তিব্র মাথা যন্ত্রনা, হৃদরোগ, চর্মরোগ, দাঁতের সমস্যায় ভোগান্তির সম্ভনা থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy