বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন শারীরিক গঠন বৈচিত্রপূর্ণ ভাগ্যের ইঙ্গিত বহন করে। জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্তর্গত সমুদ্রশাস্ত্র নামক শাখাটি মানুষের অঙ্গ বৈশিষ্ট্য থেকে ভাগ্য জানার উপায় নিয়েই গঠিত। স্বল্প পরিসরে, চোখ ও ভ্রু – এর বৈশিষ্ট্য থেকে দেখে নেওয়া যাক ভাগ্যের ইঙ্গিত—
চোখ
চোখ মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতিচ্ছবি আঁকতে পারে।
১। তীর্যক চোখ যাদের অর্থাৎ যারা ট্যারা তারা অত্যন্ত চালাকী এবং চাতুর্য দ্বারা নিজের কার্যসিদ্ধি করে থাকেন।
২। বড়, গোল আর পরিস্কার দৃষ্টিসম্পণ্ণ চোখ যাদের আছে তারা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষিত হয়।
৩। উন্নত এবং বিকশিত চক্ষুযুক্ত ব্যক্তি সৌভাগ্যশালী হয়ে থাকেন।
৪। পদ্মের মতো সুন্দর চোখযুক্ত ব্যক্তি ধনবান হন।
৫। যার চোখ সর্বদাই লাল থাকে তার কোনওদিন অর্থাভাব ঘটে না।
৬। বাদামী বা হলুদাভ চোখের জাতকেরা অর্থশাস্ত্রে জ্ঞানী হয়ে থাকেন কিন্তু বিড়ালের মতো চোখের ব্যক্তিরা সাধারণত পাপী হন।
৭। হাতির মতো ছোট চোখের ব্যক্তিদের রাজার মতো ভাগ্য হয়।
৮। যার চোখের তারা ঘন কালো হয়(অত্যাধিক) তার চোখ অপারেশন হতে পারে।
৯। সংকুচিত চোখের জাতকেরা দরিদ্র হয়।
ভ্রু
১। যে সব জাতক-জাতিকার ভ্রু দ্বিতীয়ার চাঁদের মতো সুন্দর হয় তারা সুখী, সৌভাগ্যশালী এবং ধনী হয়।
২। কপালের নিম্নদেশে ভ্রুদু’টি যদি একে অন্যের সঙ্গে মিশে যায় তবে সেই জাতক বা জাতিকা সৌন্দর্যপ্রেমী, ভোগী এবং কলা, সংস্কৃতি ও সৃজনাত্মক কাজে পটু হয়।
৩। উঁচু-নিচু ভ্রু’যুক্ত ব্যক্তি নির্ধন হয়ে যায়।
৪। উপরের দিকে উঠে আছে এমন ভ্রু যেসব জাতকের তারা স্বল্পায়ু হয়।
৫। বড় ও চওড়া ভ্রু-যুক্ত ব্যক্তি ধনবান হয়।
৬। যাদের ভ্রু মাঝ বরাবর ঝুলে থাকে তারা ভোগবিলাসী হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy