আমাদের কারওর জীবনই কখনও একই পথে চলে না। সুখ-দুঃখ মিলিয়েই জীবন। কিন্তু কখনও কখনও খারাপ সময় কিছুতেই আমাদের পিছু ছাড়তে চায় না। নানা বাজে চিন্তা তখন আমাদের মাথায় চড়ে বসে। মন অশান্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে হয়ে যাওয়া কাজও আমরা ভেস্তে ফেলি। কঠিন সময়ে নিজেকে শান্ত রাখা সহজ কাজ নয়। কিন্তু হিন্দু ধর্মে বেশ কয়েকটি মন্ত্র ও স্তোত্রের কথা বলা রয়েছে যেগুলি নিয়মিত পাঠ করলে মন শান্ত হয়, কঠিন সময়কে ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি হয়। সেগুলির মধ্যে সব মন্ত্র এবং স্তোত্রই যে আপনাকে প্রতি দিন পাঠ করতে হবে তেমনটা নয়। সেই সাতটি মন্ত্র ও স্তোত্রের মধ্যে আপনার পছন্দমতো যে কোনও একটি মন্ত্র প্রতি দিন নিষ্ঠা সহযোগে পাঠ করলেই হবে।
আরও পড়ুন:
শক্তিশালী সাত মন্ত্র:
১. মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র: মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র সঠিক নিয়ম মেনে পাঠ করতে পারলে মহাদেবের আশীর্বাদ লাভ করা যায় বলে মনে করা হয়। আর মহাদেবের আশীর্বাদ মানেই জীবন থেকে শঙ্কার কালো মেঘ সরে গিয়ে সুখের সময় শুরু হওয়া। কিন্তু এই মন্ত্র পাঠ করার অনেক নিয়ম রয়েছে। সেই সকল নিয়ম মানতে পারলে তবেই মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করা উচিত, নচেৎ নয়। সে ক্ষেত্রে লঘু মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করা যেতে পারে।
২. গায়ত্রী মন্ত্র: আমরা প্রায় সকলেই গায়ত্রী মন্ত্রের সঙ্গে পরিচিত। প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে স্নান করার পর পূর্ব দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে এই মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে। এই মন্ত্র পাঠ করার ফলে জীবনে চলার পথে আসা বাধা কেটে যায় ও সাফল্য লাভ হয়।
আরও পড়ুন:
৩. হনুমান চালিশা: হনুমান চালিশা দিনের যে কোনও সময় পাঠ করা যায়। এটি পাঠের গুণ অনেক। যে কোনও কঠিন সময়ে হনুমান চালিশা পাঠ করলে মনে সাহস পাওয়া যায়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই মন্ত্র পাঠ করলে ঘুম ভাল হয়। নেগেটিভ মনোভাব কাটিয়ে পজ়িটিভ মনোভাব আনতে সাহায্য করে হনুমান চালিশা।
৪. সরস্বতী বন্দনা: মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং বোধগম্যতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সরস্বতী বন্দনা। কেবল শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই নয়, যে কোনও মানুষেরই সরস্বতী বন্দনা পাঠ করা উচিত।
আরও পড়ুন:
৫. দুর্গা সপ্তশতী: দুর্গা সপ্তশতী হল ৭০০টি শ্লোকের সংগ্রহ। রোজকার ব্যস্ত জীবনে এটি নিয়মিত পাঠ করা সম্ভব না হলেও, কঠিন সময়ে এটি পাঠ করা গেলে ভাল ফল পাওয়া যায়। দেবী দুর্গার আশীর্বাদ লাভ হয়।
৬. হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র: হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র হল ভগবান কৃষ্ণ ও শ্রীরামের মন্ত্র। এটি পাঠ করলে জীবনে সাফল্য লাভ করা যায়। মন শান্ত হয় ও আধ্যাত্মিক চেতনা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন:
৭. বজরং বাণ: বজরং বাণ হল বজরংবলির উদ্দেশে পাঠ করা একটি মন্ত্র। এটিকে হনুমান চালিশার থেকে শক্তিশালী মন্ত্র হিসাবে মনে করা হয়। এটি পাঠ করলে আপনার মনে থাকা যে কোনও ভয়কে আপনি অতি সহজে জয় করতে পারবেন। সাহস বৃদ্ধি পাবে এবং যে কোনও কঠিন সময়কে মোকাবিলা করার শক্তি লাভ করবেন।